আমাদের ভারত, ২৪ মে: সাধারণ মানুষ ও জঙ্গির মধ্যে তফাৎ বোঝে না পাকিস্তান। একেবারে এই ভাষাতেই রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরল ভারত। ভারতের তরফে আরো দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ বা নাগরিকের সুরক্ষা বলে কিছুই নেই।
কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের হত্যার জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের মদতেই যে সন্ত্রাসবাদী কাজ চলছে তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে একাধিক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও পাকিস্তানের নগ্ন চেহারা তুলে ধরছে ভারত।
কিভাবে পাকিস্তান জঙ্গিদের লালন পালন করে এবং সে দেশের মানুষের কথা বলার অধিকারটুকু নেই তাও শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পি টি হরিশ।
তার আগেই বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতেখার আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে কাশ্মীর সমস্যা তুলে ধরেন। এরপরই জবাব দিতে উঠে পাকিস্তান কিভাবে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেন হরিশ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে তিনি বলেন সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক, কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারত যখন একাধিক জঙ্গি খাঁটি গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল তখন ভারতের সীমান্ত এলাকার গুরুদ্বার, মন্দির, স্কুলগুলিকে টার্গেট করেছিল ওরা। ওদের হামলায় ২০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের নাগরিক সুরক্ষা বলে কিছু নেই। কারণ, ওখানে সাধারণ মানুষ আর জঙ্গির মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় না। কিভাবে গত কয়েক দশক ধরে সীমান্তে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার শিকার হতে হচ্ছে ভারতকে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন হরিশ। এই প্রসঙ্গে তিনি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপুঞ্জে।