নৈহাটিতে প্রকাশ্য মঞ্চে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়লেন যুব নেতা

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২১ জানুয়ারি: “পৃথিবীতে যখন এসেছিলাম রিটার্ন টিকিট কেটে নিয়েই এসেছিলাম। গত বছর ২৩ মের পর গত ১৯ মাসে পর পর বোমা বাজি হয়েছে আমি যে অফিসে বসি সেই দলীয় কার্যালয়ে। ৮ বার আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিরোধীরা। নৈহাটি থানার পুলিশকে জানানো সত্বেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামি। আমার প্রশ্ন এতদিন ধরে কি করছে পুলিশ? আজকের এই মঞ্চ আমার নৈহাটি শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে শেষ মঞ্চ। আমি নৈহাটি শহর তৃণমূল যুব সভাপতি পদ এখন থেকে ত্যাগ করছি। সাধারন দলীয় কর্মী হিসেবে দলের সঙ্গে থাকব।” নৈহাটির মামুদপুরে তৃণমূলের প্রকাশ্য জনসভায় এই বক্তব্য রেখেই দলীয় পদ ত্যাগ করলেন সনৎ দে ।

সম্প্রতি নৈহাটি বিজয় নগরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়ে। গোটা বিষয়টি জানানো হয় নৈহাটি থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। তাতেই ক্ষিপ্ত সনৎবাবু। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পর পর হামলার পরও কেন পুলিশ নির্বিকার? প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়ে। সেই কারনেই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেন সনৎ দে। তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার শরীর অসুস্থ। সেই কারনে দলীয় পদ ত্যাগ করছি। তবে দল ছাড়ার প্রশ্ন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাংলার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্যাগ করার প্রশ্ন নেই।”

এদিকে সনৎ দে যে সভায় দাড়িয়ে পদত্যাগ করেন, সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “সনৎ ইমানদার তৃণমূল কর্মী। শুভেন্দুর মত নয়। ও অভিমানে পদ ছেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা দলীয় স্তরে কথা বলব।” নৈহাটিতে বোমাবাজি, হামলার ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট দপ্তরেও। এই ঘটনায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে বিজেপি গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে। বিজেপি রাজ্য সম্পাদক ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “বার বার সনতের দলীয় কার্যালয়ে কেন বোমা পড়ে? ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এর সঙ্গে জড়িত নয়। বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *