আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৬ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর থেকে বঞ্চিত চা বাগানের বাসিন্দারা বলে অভিযোগ। এ ছাড়া জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে না শ্রমিক মহল্লায়। বার বার সমস্যার কথা তুলে ধরার পরেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলো জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভাণ্ডিগুড়ি চা বাগানের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার শ্রমিকরা একজোট হয়ে সদর বিডিও অফিসে বিক্ষোভে সামিল হলেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বেশিরভাগ পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জমির পাট্টা দিতে টালবাহানা চলছে। এর প্রতিবাদে এ দিনের এই আন্দোলন বলে দাবি শ্রমিকদের। আবাস যোজনার ঘর বিলি প্রক্রিয়ার সমীক্ষাও সঠিক ভাবে হয়নি বলে অভিযোগ তুললেল শ্রমিকরা।
ভাণ্ডিগুড়ি চা বাগানের শ্রমিক সুখমনি ওরাও বলেন, “আমরা ঘর, শৌচাগার কিছুই পাচ্ছি না। যাদের ঘরবাড়ি আছে তারাই পাচ্ছেন, তাহলে আমরা কি করবো? পঞ্চায়েত প্রধানকে একাধিকবার কাগজপত্র জমা করেছি কাজ হয়নি। কয়েকবার কাগজপত্র জমা করার পরেও কিছুই হয় না। সরকারের প্রকল্প কেন আমরা পাব না?”
বাগানের শ্রমিক ফুলমণি লোহার বলেন, “ঘরের সমস্যা ও জমির পাট্টা নিয়ে বিডিও অফিসে এসেছি। আমরা সরকারি সুযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি। আবাস যোজনার কিছুই পাইনি।”
চা বাগানের শ্রমিক নেতা তথা ওয়েস্ট বেঙ্গল ভান্ডিগুড়ি চা বাগান ইউনিট কমিটির ভাণ্ডিগুড়ি চা বাগানের সম্পাদক অমল নায়েক বলেন, “আবাস যোজনার ঘর নিয়ে সব জায়গায় সমীক্ষা হচ্ছে। আমাদের এলাকায় ৭০-৮০ পরিবার বঞ্চিত হয়ে আছেন। আমরা যেটুকু জমিতে বসবাস করছি সেইটুক জমির পাট্টা দরকার। আজ বিডিওকে জানালাম, এরপর জেলাশাসককে জানাব। তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু হবে। আজকে যারা আসছেন সবাই তো দলের কর্মী নয়, অনেকে আছেন যারা বাগানের কাজ করে সংসার চালায়।”
জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসের দাবি, শ্রমিকদের দাবিদাওয়া ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে তুলে ধরা হবে।