পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুন: ভোটের পরেই সজাগ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং জবরদখল উচ্ছেদে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এরই সঙ্গে হকারদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রেও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন এক মাসের মধ্যে তারা সবকিছু সরিয়ে না নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার। আর সেই নির্দেশের পরেই মেদিনীপুর শহরে হকারদের সরানোর পাশাপাশি জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান নামলো মহকুমা এবং পুর প্রশাসন।
গোটা রাজ্যজুড়েই জবরদখল অব্যাহত। শুধু রাস্তাঘাট জবরদখল নয়, সেই সঙ্গে জলাশয়, পুকুর ঘিরে রাতারাতি প্রোমোটারিরাজ আজও চলছে। অন্যদিকে জলাশয়, পুকুর ঘিরে অবৈধ বাড়িঘর তৈরি করে ফেলেছেন বহু মানুষজন। এবার সেইসব উচ্ছেদ অভিযানে নামল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জবরদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধার অভিযানে নামলো প্রশাসন। শুক্রবার মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের কেরানিতোলার জেলা ভূমি দপ্তরের পার্শ্ববর্তী মল্লিক পুকুরের আশপাশে সরকারি জায়গায় বসবাসকারি বেশ কিছু জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি জমিতে বসবাসকারী বেশ কিছু মানুষকে এদিন নোটিশও দেওয়া হয়। এই পুকুরের পাশাপাশি গজিয়ে ওঠা প্রায় দুটো বাড়ি দুটো দোকান এবং একটা দোকানের অর্ধেক ভেঙ্গে ফেলা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই জবরদখল উচ্ছেদের নেতৃত্বে ছিল মেদিনীপুর পৌরসভা, মেদিনীপুর মহকুমা প্রশাসন এবং ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা।
মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন সূত্র অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারের উদ্যোগ এটা। পাশাপাশি পুকুরটি যেহেতু দেবত্ব সম্পত্তি, তাই পুকুরটিকে বাঁচানো প্রশাসনের দায়িত্ব। এই পুকুরটির আশেপাশে দখল করে বসা মানুষদের এদের নোটিশ দেওয়া হয়।কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামো খুলে ফেলা হয়।তবে জবর দখল করে বসবাসকারীদের মধ্যে যদি প্রকৃত দরিদ্র কেউ থাকে, তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।