আমাদের ভারত, ২০ এপ্রিল: আমরা হিন্দু সেটা হওয়া কি আমাদের অপরাধ? আমাদের সিবিআই তদন্ত চাই। এলাকায় স্থায়ী বিএসএফের ক্যাম্প চাই। হ্যাঁ এমনই একাধিক দাবি প্ল্যাকার্ডে লিখে নিয়ে মুর্শিদাবাদের পথে নেমেছিলেন সেখানকার মহিলারা। দাঙ্গার আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না তাদের। মহিলাদের কথায় লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, নিরাপত্তা চাই।
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদে সুতি, জঙ্গিপুর সহ একাধিক এলাকা। সেখানে হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকান পাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে ত্রাণ শিবিরে রাত কাটাচ্ছেন তারা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় সম্প্রতি পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। কিন্তু মহিলাদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তাদের ভয়, কয়েকদিন পরেই বিএসএফ চলে যাবে। তখন তাদের সঙ্গে কী হবে? এটা ভেবেই তারা কূলকিনারা করতে পারছেন না।
শনিবার উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরিদর্শন করে গেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। তাদের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মহিলারা। এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি করেছেন তারা। জানিয়েছেন, তাদের আর কিছু চাই না, নিরাপত্তা চাই। খুব ভয়ে আছেন তারা। এক মহিলা বলেছেন, দুয়ারে সরকার চাই না, লক্ষ্মীর ভান্ডার চাই না। আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না, ঘুমোতে পারছি না। একটা স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। না হলে আমরা বাঁচতে পারব না। আরো একজন বলেন, কী করব বলুন আমাদের সব ছাড়খার হয়ে গেল, সবটা লুট করে নিয়ে চলে গেছে।
বিরোধীরা বার বার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভাতার রাজনীতির অভিযোগ করেন। এবার নিরাপত্তার বিনিময়ে সাধারণ মানুষও ভাতা প্রত্যাখানের জায়গায় পৌঁছেছে। এবার দেখার এই ভাবনার প্রতিফলন আদৌ ২৬- এর নির্বাচনে পড়ে কিনা।