আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৮ নভেম্বর: ক্যানিংয়ের একটি লজে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং বাজারে এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তখনই মহিলাকে সেখানে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তাঁর সঙ্গী মহসীন মোল্লা। মৃতার নাম আমিনা মোল্লা(৪৭)। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের গোবরামারি গ্রামের বাসিন্দা মহসীন। আমিনা নামের ঐ মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে এই লজের ৮ নম্বর ঘরে উঠেছিলেন শুক্রবার দুপুরে। সঠিক কি কারণে তাঁরা এখানে এসেছিলেন সে সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি লজ কর্তৃপক্ষ। তবে এলাকার মানুষের দাবি, এই লজে দেহ ব্যবসা চলে। ঐ যুগল ঘরে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর মহসীন দ্রুত সেখান থেকে এসে বিষয়টি লজের কর্মীদের জানালে সকলে মিলে মহিলাকে উদ্ধার করে একটি টোটোতে চাপিয়ে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পরিবর্তে ক্যানিং বাজারে এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আই সি ক্যানিং সৌগত ঘোষ ও এসডিপিও ক্যানিং রামকুমার মন্ডল দু’জনেই আসেন ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য। আপাতত ঐ যুগলের ব্যবহৃত ঘরটা পুলিশের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লজের মালিক ভরত সর্দার বলেন, “আমি বা আমার ছেলে কেউই লজে ছিলাম না। কর্মীরা ছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন ঐ যুগল এসে ঘরে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমাদের কর্মীরা তাঁকে চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে জানি না। পুলিশ তদন্ত করছে।”
এসডিপিও ক্যানিং বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ঐ যুগলের একই গ্রামে বাড়ি। বিগত তিন বছর ধরে তাঁদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মহসীন। কী কারণে মহিলার মৃত্যু হয়েছে সেটা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। মহসীনের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।”