আমাদের ভারত, বর্ধমান, ৫ জানুয়ারি:
তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়ে গেছে। দিনের পর দিন বিজেপি কর্মীদের মারতে গিয়ে আজ নিজেরাই নিজেদের লোককে হারাচ্ছে। দিদিমণি তাই ভয় পেয়েছে। বর্ধমানে এসে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার বর্ধমানের কুড়মুনের হাটতলায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা ভারতবর্ষে ৯ কোটির বেশী কৃষক ১৪ হাজার টাকা পেয়েছে। আজ আমরা আন্দোলন করেছি বলে এখন দিদিমণি মানতে বাধ্য হয়ে সেই টাকা দিচ্ছে, কিন্তু ভয় একটাই ওই টাকা দিদির হাতে গেলেই সব কাটমানি হয়ে যাবে। আমফানের টাকা নিয়েও হয়েছিল দুর্নীতি। মোদীজীও দেখলেন আমফানের টাকা সব আত্মসাৎ করেছেন দিদির ভাইয়েরা। ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা চলে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের অ্যাকাউন্টে।
মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের এলাকা থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আনার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নেন তিনি। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে নাটক করছেন। নোট বন্দির সময় যেমন দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। তিনি টাকা তোলার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মানুষ কি বোঝে না– রাহুল গান্ধীর টাকা নেই? তিনি যে নাটক করেছিলেন সেটা মানুষ ধরে ফেলেছিল।
রেশন দুর্নীতির কথা তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ বলেন, লকডাউনের সময় মোদীজী বাড়ি বাড়ি রেশন পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই রেশনের চাল, ডাল, গম তাও পাচার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতারা সেই সব রেশনের সামগ্রী গায়েব করেছে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে চাল চোর বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রতিদিনই উইকেট পড়ছে। দিদিমণি তাই ভয় পেয়েছে।