আমাদের ভারত, ৬ এপ্রিল: ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গিয়ে শনিবার ভোররাতে আক্রান্ত হয়েছেন এনআইএ’র আধিকারিকরা। সন্দেশখালির পর আবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার তৎপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। ভোরে ভূপতিনগরে এনআইএ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, অমিত শাহের মন্ত্রক থেকে ফোন করা হয়েছে ভূপতিনগর থানায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোন গ্রামের ঘটনা, ঠিক কী ঘটেছিল? সার্বিক ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে ভূপতিনগর থানা থেকে। তদন্তকারীদের ঘিরে বিক্ষোভ, হামলা ও গাড়ি ভাঙ্গচুরের ঘটনায় অভিযোগে প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফোনে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে থানায়।
অন্যদিকে এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই ঘটনাকে ভীষণই গুরুতর সমস্যা বলে অভিহিত করেছেন। ভূপতিনগরের ঘটনাকে গুন্ডাগিরি বলে আখ্যা দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন, ভূপতিনগরের ঘটনাকে ততটাই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে যতটা প্রয়োজন। রাজ্যপাল বলেন, এটা ভীষণই গুরুতর পরিস্থিতি। ততটা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টিকে সামলাতে হবে যতটা প্রাপ্য। এই ধরনের গুন্ডাগিরি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আইনি শক্তির ঊর্ধ্বে গিয়ে পেশি শক্তির আসফালন কাম্য নয়। কড়া হাতে ঘটনা সামলাতে হবে।
২০২২ সালে বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত করতে গিয়ে মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে গিয়েছিল এনআইএ’র আধিকারিকরা। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি এবং মনব্রত জানাকে গ্রেফতার করেন তারা। দুই অভিযুক্তকে নিয়ে ফেরার সময় সন্দেশখালির ঘটনার স্মৃতি উসকে দিয়ে এনআইএ’র আধিকারিকদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন গ্রামের মহিলারা। ভাঙ্গা হয় আধিকারিকদের গাড়ির কাঁচ। গুরুতর আহত হন এক এনআইএ আধিকারিক।