আমাদের ভারত, ৫ সেপ্টেম্বর: আরজিকর কান্ডে সন্দীপ ঘোষকে ঘিরে আরো এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে বৃহস্পতিবার। জানাগেছে, হাসপাতালের যে সেমিনার রুমে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তার একদিন পরেই পিডাব্লিউডি তার উল্টো দিকের শৌচাগার ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। আর সেটা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই। আর এই সংক্রান্ত নোটিশ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়েছে। সেই নোটিশ পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, প্রমাণ লোপাটের উদ্দ্যেশ্যে নেওয়া সন্দীপ ঘোষের এত বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়।
আরজিকরের ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল হয়েছে। যত সময় এগোচ্ছে ততই বিক্ষোভের আগুন বাড়ছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া নোটিশ দেখে চমকে যান সকলেই। অনেকেই বলেছেন আশঙ্কা যে সত্যি, সেটা এই নোটিশ আবার প্রমাণ করার দিকে এক ধাপ এগিয়ে দিল।
নোটিশটি পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, সিবিআইএ’র হাতে এই ঘটনা যাওয়ার আগেই সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচালায় ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ক্রাইম স্পট বা তারা আশেপাশের জায়গা কিভাবে ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত? তিনি লিখেছেন,
“আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্বাক্ষরিত এই আদেশটি ১০ আগস্টের। নির্যাতিতার মৃত্যুর ঠিক একদিন পরে সহকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে অপরাধের জায়গা এবং প্রমাণ টেম্পারিং- এর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশনার তা অস্বীকার করেছিলেন।
এই নোটিশ থেকে মনে হচ্ছে প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃত্যুর পরে তিনি সেমিনার হলের সামনের শৌচাগার ভেঙ্গে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রীও ব্যর্থ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া এ কাজ সম্ভব ছিল না। লজ্জা জনক!