Ramlala, Ayodhya, Modi, সূর্যাভিষেক! বিজ্ঞানকে সঙ্গী করে অযোধ্যায় রামলালার কপালে তিলক কাটলো সূর্য, অভূতপূর্ব মুহূর্তের সাক্ষী দেশবাসী

আমাদের ভারত, ১৭ এপ্রিল: অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার কপালে তিলক কাটলো সূর্য। রামনবমীতে রাম লালার কপাল থেকে সূর্যকিরণ ঠিকড়ে বেরোলো। আর সেটা সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের ম্যাজিকেই। এই সূর্যাভিষেকের জন্য রাম মন্দিরে হাজির ছিলেন দশ বিজ্ঞানীর একটি দল।

বিজ্ঞানীদের নিখুঁত পরিকল্পনায় রামনবমীতে অযোধ্যার রামনন্দিরে রামলালার সূর্যাভিষেক করা হয়। সেটার জন্য একটি বিশেষ যন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। তাতে ছিল একগুচ্ছ লেন্স এবং আয়না। সেগুলি দিয়ে সূর্য তিলক পদ্ধতির মাধ্যমে রামলালার কপালে ৫.৮ সেন্টিমিটার আলো রশ্মিবিচ্ছুরিত হয়ে যায়।

একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট- এর বিজ্ঞানী এবং অধিকর্তা প্রদীপ কুমার রামচারলা জানিয়েছেন যে, অপ্টো মেকানিক্যাল সিস্টেমে মোট চারটি আয়না ও চারটি লেন্স ছিল। সেগুলি বসানো ছিল টিল্ট মেকানিজম এবং পাইপিং সিস্টেমের মধ্যে। সেই যন্ত্রটি ওই মন্দিরের সবথেকে ওপরে তলে বসানো ছিল। তাতে ছিল একটি ছিদ্র। সূর্যের যে রশ্মি আসবে সেটাকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভ গৃহে থাকা রাম লালার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এবং অধিকর্তা আরো জানিয়েছেন, পূর্ব দিকে মুখ করে রাখা আছে রামলালার বিগ্রহ। বিজ্ঞানীরা যে প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন সেটা সূর্য রশ্মিকে উত্তর দিকে পাঠিয়ে দেয়। আর সেই প্রক্রিয়ার ফলে রামলালার ললাট থেকে সূর্যের রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়ে ঠিকড়ে পরে নীল আলো।

এবার থেকে প্রতিবছর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রামনবমীতে রামলালার সূর্যাভিষেক হবে বলে জানিয়েছেন সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটেড বিজ্ঞানী ও অধিকর্তা।


ছবি: অসমের নলবাড়ি থেকে জনসভা করে ফেরার পথে ডিজিটাল মাধ্যমে অযোধ্যায় শ্রী রামচন্দ্রের সূর্য তিলকের দৈবিক মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ফাঁকে অনলাইনে অযোধ্যার রাম মন্দিরের রামলালার সূর্যাভিষেক দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় তিনি জুতো খুলে রাখেন আর বুকে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। সেই ছবি পোস্ট করে মোদী লেখেন, নলবাড়ি জনসভার পরে সূর্য তিলকের সাক্ষী থাকলাম। কোটি কোটি ভারতীয়র মতো এই মুহূর্ত আমার কাছে অত্যন্ত আবেগের। অযোধ্যায় যে বিরাট আকারে রামনবমী পালন করা হচ্ছে তা ঐতিহাসিক। আশা করি যে, এই সূর্য তিলকের হাত ধরে আমাদের জীবনে শক্তি আসবে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *