রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ মে: লকডাউন মানলেও রাজ্যে সরকারি ভাবে নাইট কারফিউয়ের ঘোষণা করা হচ্ছে না। তবে দিনের মতো রাতেও বেআইনি জটলা বা জমায়েত দেখলেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এ রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোনের সীমানাকে পুনরায় সংশোধন করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, আগের মত পুরো এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা না করে সংক্রমণ অনুযায়ী বুথভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা হবে। এ রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনকে তিনটি (এ, বি, সি) ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জোন হল সংক্রমিত বা অ্যাফেক্টেড এলাকা। বি জোন হল বাফার জোন। সি হল ক্লিন জোন। ‘এ’ জোনগুলিতে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। ‘বি’ এবং ‘সি’ জোনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ধাপে ধাপে চালু করা হবে।
এছাড়াও তিনি জানান, ২১ মে থেকে রাজ্যের সব বড় দোকান এমনকি সেলুন, পার্লার খোলারও অনুমতি দিচ্ছে রাজ্য। তবে সেলুন বা পার্লারের ক্ষেত্রে মাস্ক পড়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি স্যানিটাইজ করে যাতে ব্যবহার করা হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। ২৭ মে থেকে দু’জন করে যাত্রী অটো চলবে।একই সঙ্গে বাসভাড়া বাড়ার দাবি ঘোষিত হয়েও খারিজ হয়ে যাওয়ার কারণে নারাজ বেসরকারি বাসমালিকদেরও চালাতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জেলার মধ্যে সরকারি বাস চালানোর কথাও বলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে হোটেল খুলবে। এক দিন অন্তর সরকারি ও বেসরকারি অফিসও খোলা যাবে। তবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের সামনে এই মুহূর্তে তিনটি জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনা, পরিযায়ী শ্রমিক এবং আমফান ঘূর্ণিঝড়। একসঙ্গে যাতে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক আসলে রাজ্যে সমস্যা তৈরি না হয়, সেই জন্য ধাপে ধাপে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও ঘোষণা করেন, ২৭ মে-র পর থেকে জোড়-বিজোড় নীতি মেনে খুলবে হকার্স মার্কেট। তা নিয়ে হকার্স ইউনিয়ন পুলিশ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নার্সদের চলে যাওয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় কাজ জানাদের অল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে হেল্পার নিয়োগ করা হবে। প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্তরা এই দুর্দিনে ফের কাজে যোগ দিতে চাইলে তাদের নিয়োগ করবে সরকার।