Yogi, BJP, ঔরঙ্গজেবের আত্মা কংগ্রেসের মধ্যে প্রবেশ করেছে, ভোট প্রচারে গিয়ে সরব যোগী

আমাদের ভারত, ১৮ মে: শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের মধ্যে মুঘল বাদশা ঔরঙ্গজেবের আত্মা প্রবেশ করেছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কংগ্রেসকে নিশানা করে এমনটাই বলেছেন। উত্তরাধিকার কর প্রবর্তন নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁর কথায় উত্তরাধিকার কর ঔরঙ্গজেবের জিজিয়া করের মতো।

মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলায় মালে গাঁও শহরে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, বিজেপি শুধু মাত্র ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, উন্নত ভারত গড়তে নির্বাচনের লড়াই করছে। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদী যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবার ফিরে আসছেন তাতে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়। এরপরই তিনি বলেন, উত্তরাধিকার কর ঔরঙ্গজেব আরোপিত জিজিয়া করের মতো। ঔরঙ্গজেবের আত্মা কংগ্রেসের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তিনি আরো বলেন, ঔরঙ্গজেবের অমুসলিম নাগরিকদের ওপর জিজিয়া কর আরোপ করেছিলেন, কংগ্রেসও তাই করতে চলেছে বলে দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা পিত্রোদা মার্কিন উত্তরাধিকার আইনের উদাহরণ টেনে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতীয় এমন কোন আইন আনা উচিত তাতে একজন মারা গেলে তার সম্পত্তির প্রায় অর্ধেক চলে আসবে সরকারের হাতে। আর বাকি অর্ধেক তার সন্তান পাবে উত্তরাধিকার সূত্রে। শ্যাম পিত্রোদার এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মোদী থেকে অমিত শাহ সকলেই। মোদীও বলেছেন, “বাবা মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকারের ওপরেও কর আরোপ করবে কংগ্রেস। আপনার পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি যে সম্পত্তি সঞ্চয় করেছেন তা আপনার সন্তানদের দেওয়া হবে না। কংগ্রেস তাও আপনার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবে। যতদিন আপনি বেঁচে থাকবেন কংগ্রেস উচ্চতর কর আরোপ করবে এবং আপনি যখন আর বেঁচে থাকবেন না তখন এই দল উত্তরাধিকার করের বোঝা চাপিয়ে দেবে। যারা সমগ্র কংগ্রেস পার্টিকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তারা এখন চান না ভারতীয়রা তাদের সম্পত্তি তাদের সন্তানদের হাতে হস্তান্তর করুক।” আজ যোগীও এই ইস্যুতে সরব হলেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে যোগী বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের অনুভূতির প্রতীক। তিনি বলেন, বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে অযোধ্যায় রাম মন্দির ধ্বংস করে দেবে। তবে মন্দির ধ্বংস করার জন্য কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে না বলেও দাবি করেছেন যোগী। তাঁর কথায়, ২০১৪ সালের আগে হিন্দুদের প্রতিটি উৎসবের আগে দেশে দাঙ্গা হতো। এখন মানুষ শান্তিতে উৎসব পালন করে দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *