road, Mejia, মেজিয়ায় রাস্তা তৈরি শেষ হওয়ার আগেই চেহারা হতশ্রী, সরেজমিনে বিধায়ক চন্দনা বাউরি

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২০ জুলাই: পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হাওয়ার আগেই তার হতশ্রী চেহারায়। আঙ্গুলের চাপেই উঠে আসছে পিচ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনেই সরেজমিনে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। মেজিয়ায় এই ঘটনায় চাঞ্চল‍্য দেখা দিয়েছে।

বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের রানিপুর থেকে বেনাগাড়ি পর্যন্ত বেহাল রাস্তা সংস্কারের জন্য পথশ্রী প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তা উঠে আসছে। এনিয়ে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য, ঠিকাদার অতি নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন, তাই রাস্তায় ব্যবহৃত পিচের উঠে যাচ্ছে। আজ সরেজমিন রাস্তা দেখতে এসে শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও ঠিকাদার ও শাসক দলের নেতাদের মধ্যে যোগ সাজসের অভিযোগ তুললেন।

বিধায়কের দাবি, নেতাদের কাটমানি দিতে গিয়ে ঠিকাদার নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের মুরগাবনী রেল লাইন থেকে রানীপুর, মুকুন্দপুর গ্রাম হয়ে বেনাগাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয় পথশ্রী প্রকল্পে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাস্তার কাজও শুরু হয়। তারপর মাঝে বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি রাস্তা তৈরির কাজ ফের শুরু হয়েছে। চন্দনা বাউরির অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হতে না হতেই পিচ উঠে কাদা বেরিয়ে আসছে। তা দেখে রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসীদের দাবি, আঙুলের চাপেই উঠে আসছে পিচের আস্তরণ। রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও পায়ের চাপে ফেটে যাচ্ছে পিচ। বিধায়কের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার ফলেই বাধ্য হয়ে ঠিকাদার ওই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। তার আরও দাবি যে, কার্লভাট হচ্ছে তাতে রড ছাড়াই ঢালাই করা হচ্ছে।

বিধায়কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি ব্যনার্জি বলেন, বিধায়ক রাস্তা নির্মাণ দেখতে আসেননি। উনি নাটক করতে এসেছিলেন। কোনো গ্রামবাসী বিক্ষোভ দেখাননি বা আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। উনি জনা চারেক বিজেপি কর্মীকে সাথে নিয়ে কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধি নিয়ে নাটক করতে এসেছিলেন। ওনার কথার গুরুত্ব কেউ দিচ্ছেন না।

তবে ওই রাস্তার ঠিকাদার মৃত্যুঞ্জয় তেওয়ারি নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্ষার সময় পিচের রাস্তা করার ফলেই এই সমস্যা হয়েছে। সেই কারণে দু’ এক জায়গায় পিচ ঢালার সময় জল পেয়ে গিয়েছিল। রাস্তার যে অংশে এই সমস্যা হয়েছে সেখানে রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়া হবে। আর কার্লভাটের বটম অংশে কোনো রড দেওয়ার কথা ড্রয়িংয়ে নেই। মেজিয়ার বিডিও সেখ আবদুল্লাহ বলেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *