নোয়াখালী দিবস পালনের কর্মসূচি সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের

আমাদের ভারত, ৮ অক্টোবর: সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্ট আগামী সোমবার নোয়াখালী দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে।

নোয়াখালী হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী রবীন্দ্রনাথ দত্ত ওই দিন বিকেলে বাগুইআটির হাতিয়ারায় ঝিলবাগানে এক সমাবেশে বলবেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। এ কথা জানিয়ে সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি শঙ্কর মণ্ডল শনিবার এই প্রতিবেদককে জানান, “এই নোয়াখালী হত্যায় প্রায় ৫০০০ হিন্দুকে হত্যা, অগণিত হিন্দু মা বোনকে ধর্ষণ ও হাজার হাজার হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার মত ঘটনা ঘটিয়েছিল। তা এই বাংলার মানুষকে বিশেষ করে তথাকথিত সেকুলার নামধারী কিছু কিছু আঁতেল কমিউনিস্টদের জানানো দরকার। কারণ বর্তমান সরকার ও তার প্রশাসন যে পদ্ধতিতে চলেছেন তাতে এই রাজ্য আর দশ পনেরো বছরের মধ্যেই নোয়াখালী হতে যাচ্ছে। হয়ত সেদিন থেকে আর রাত জেগে ঠাকুর দেখতে হবে না। তখন রাত জেগে পুজো প্যাণ্ডেল পাহারা দিতে হবে, আর তাতেও সেই প্যাণ্ডেল ও প্রতিমা অক্ষত রাখতে পারবে কি না সন্দেহ। কারণ অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি জানানোর শিক্ষা ওদের ধর্মে নেই।”

শঙ্করবাবুর কথায়, “বাংলার গৌরব তার গৌরবান্বিত কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। পিতৃপক্ষের মধ্যে ভুল চণ্ডীপাঠ দিয়ে শুরু করেছিলেন তথাকথিত উৎসবের। আর এখন তিনি ব্যস্ত আছেন অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টায়, যাতে মানুষ প্রশ্ন না করে নিয়োগ প্রার্থীদের ধর্ণা নিয়ে, মানুষ যাতে প্রশ্ন না করে মাল নদীতে ৮ জনের অকাল মৃত্যুর জন্য দায় কার? হরিদেবপুরের যুবকের মৃত্যুর জন্য পুলিশের ব্যর্থতা কতটা? অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার নিয়ে সিবিআইয়ের চার্জসিটে কি আছে? সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া কি সত্যিই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র? তাহলে একজন কনস্টেবল এত টাকার মালিক হল কি করে? আর অনুব্রত মণ্ডলই বা একজন মাগুর মাছ বিক্রেতা থেকে কি করে এত কোটি কোটি টাকার মালিক হল? কিন্তু প্রশ্ন যাই থাক না কেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, থুড়ি মা সারদার পুনঃজন্ম নেওয়া দেবী এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয়। কারণ তিনি মানুষের ভোটে জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, যদিও তিনি নিজে নির্বাচনে হেরেছেন, আর তাকে হারিয়ে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আর এই তৃতীয়বার জয় নিয়ে এমনভাবে মাননীয়া ও তার স্তাবকেরা ব্যক্ত করছেন, যাতে মনে হচ্ছে ভারতবর্ষ তো বটেই এমনকি সমগ্র পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল ভোটে জিতলেই কি যা খুশি তাই করা যায়? আর এই রাজ্যের পুলিশকে দলদাসে পরিণত করে, সব আইনকে অপব্যবহার করে যেভাবে পুলিশকে দুষ্কৃতকারীতে পরিণত করেছে, তা যে কোনো গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের হাড় হিম করে দেয়। বিরোধী কর্মী তো বটেই আজ বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর ওপর হামলার সময়ও পুলিশ যেভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন তা দেখে ১৯৪৬ -এর ১৬ ই আগস্ট কলকাতা ও ১০ ই অক্টোবর তৎকালীন অবিভক্ত নোয়াখালীর পুলিশকেই মনে করিয়ে দেয়।

হ্যাঁ, যেহেতু ১০ ই অক্টোবরের আর মাত্র দুদিন বাকি, আর আজকের যুবসমাজ যেহেতু এই ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়নি, তাই এ বিষয়ে কথা বলতেই হয়, কারণ বাঙালি হিন্দু নোয়াখালী সম্পর্কে না জানলে ভবিষ্যতে নোয়াখালী হওয়া আটকাবে কিভাবে? আর সেই কারণে জাগো হিন্দু জাগো। জয় মা ভবানী।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *