Minor, Privacy, ঘটনায় জড়িয়ে পড়া নাবালকদের গোপনীয়তার সওয়াল বিশেষজ্ঞের

আমাদের ভারত, ২৬ এপ্রিল: “নিহত বিতান চৌধুরীর ৩ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে যে আচার আচরণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ করে চলেছেন তা শুধু দোষের নয় আইন বিরুদ্ধ।” শনিবার এই মন্তব্য করলেন
শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ সত্যগোপাল দে। তাঁর মতে, নির্দিষ্ট একটি ঘটনায় নয়, কোনও ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়া প্রতিটি নাবালক ও শিশুদের পর্যাপ্ত গোপনীয়তা দরকার।

এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, “এরকম পরিস্থিতিতে শিশুটির সবার আগে দরকার ‘ট্রমা ম্যানেজমেন্ট’। একান্তে তার বিশ্বস্ত জনের কাছে থাকতে দেওয়া, ভালবাসা ও আদরের নামে তাকে বিব্রত করা নয়।”

তিনি বলেন, “পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী আক্রমণে দেশজুড়ে উঠেছে সোচ্চার। এই সোচ্চারে গলা মিলিয়ে আমিও বলতে চাই সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক, খতম করা হোক সব সন্ত্রাসীদের এবং সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে। কিন্তু তিন দশকের বেশি শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুবাদে শিশুটির বিষয় আমাকে বিব্রত করেছ।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী করনীয় তা ইউনাইটেড নেশনস চাইল্ড রাইটস কনভেনশন ১৯৮৯ সালের অনুচ্ছেদ ২৫- এ বলা আছে। তাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রকে শিশুটিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শিশুটির সর্বোত্তম স্বার্থ অনু্যায়ী করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই আন্তর্জাতিক আইনটিকে ভারত সরকার মান্যতা দিয়েছে ১৯৯২ সালে।”

সত্যগোপালবাবু মনে করিয়ে দেন, “জুভিনাইল জাস্টিস কেয়ার আন্ড প্রটোকেশন অ্যাক্ট ২০১৫ -এর ৭৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কোনও শিশুর অথবা যার পরিচর্যা ও সুরক্ষার প্রয়োজন, অথবা যে অপরাধের শিকার বা সাক্ষী, তার নাম, ঠিকানা, স্কুল বা অন্য কোনও পরিচয় প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। শিশুর ছবি প্রকাশও নিষিদ্ধ। তবে, শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থে, তদন্তকারী বোর্ড বা শিশু কল্যাণ সমিতি লিখিতভাবে কারণ দর্শিয়ে অনুমতি প্রদান করতে পারে।” এটি লঙ্ঘিত হলে শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *