দল বদলাচ্ছেন, তাই গো-মাংস রান্না রুদ্রনীলের ‘হিন্দুত্ববোধে’ আঘাত? পাল্টা প্রশ্ন দেবলীনার

রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তকে ঘিরে গো-মাংস রান্নার বিতর্কে মন্তব্য করেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সহকর্মী অভিনেত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, “দেবলীনার মা কি দুর্গাপুজোয় ‘গো-মাংস’ রান্নার কথা ভাবেন?” ছেড়ে কথা বলার পাত্রী নন টলিউড অভিনেত্রীও। পালটা দিলেন। দেবলীনা বললেন, “ওই অনুষ্ঠানে রুদ্রনীলও তো উপস্থিত ছিলেন, তখনই প্রতিবাদ না জানিয়ে বত্রিশ পাটি বের করে শুভেচ্ছা জানালেন কেন? দল বদলাচ্ছেন বলে কি এখন হিন্দুত্ব বোধে আঘাত লাগছে?”

রুদ্রনীল ঘোষ নিজে সরাসরি কিছু না বললেও তার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একাধিক বিজেপি নেতার মত সরাসরি না বললেও অভিনেত্রীকে ঘুরিয়ে আক্রমণ করেন রুদ্রনীলও। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী। “এখন দল বদলাচ্ছেন বলে কি ওদের সুরে সুর মেলাচ্ছেন রুদ্রনীল?” কড়া প্রশ্ন অভিনেত্রীর। এর পাশাপাশি দেবলীনা এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, সেদিন ওই অনুষ্ঠানে ‘গো-মাংস রান্না’ প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছেন, সেই মন্তব্য থেকে একচুলও সরবেন না তিনি।

দেবলীনা দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে গোমাংস খাওয়া নিয়ে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে মন্তব্য করলে সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থেকেও তখন কোনো মন্তব্য করেননি রুদ্রনীল। পরে তিনি এই নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এক সাংবাদিককে বলেন, “দেবলীনা দত্ত টেলিভিশনে গোটা দেশের সামনে যেভাবে অষ্টমীর দিন গরুর মাংস রান্না করার কথা বলেছিলেন, তাতে ধার্মিক মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। সেই মানুষগুলো যে কেবল বিজেপি করে সেই ভাবনাটা ভুল। দেবলীনার মাকে জিজ্ঞেস করুন তো, দুর্গা পুজোর সময়ে কখনও গরুর মাংস রান্না করার কথা ভেবেছেন কি না? এরকম কথায় হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষরা আঘাত পান জেনেও এই ধরনের কথা বলার কী মানে?” প্রশ্ন তুলেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।

সেই প্রেক্ষিতেই এবার বিস্ফোরক দেবলীনা দত্ত। এক সংবাদমাধ্যমে কোনওরকম রেয়াত না করেই সহকর্মী রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। দেবলীনার কথায়, “সত্যিই যদি ওঁর হিন্দুত্ববোধে আঘাত লেগে থাকে তাহলে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তখনই কেন প্রতিবাদ করলেন না রুদ্রনীল? উলটে মঞ্চ থেকে নেমে এসে হাসিমুখে আমার হাত চেপে ধরে শুভেচ্ছা জানালেন! আমার কথাগুলো যে ওঁকে এত আঘাত করেছে, তখন সেকথা তো বন্ধুত্বের সুরেই জানাতে পারতেন। এখন দল বদলাচ্ছেন বলে কি ওদের সুরে সুর মেলাচ্ছেন? সেই সময় ওঁর হাসিমুখ এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ের নম্রতা দেখে মনেই হয়নি, ওঁর যে খারাপ লেগেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *