কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছ’বছর পর ঝালদার স্কুলে পুলিশি পাহারায় মিড ডে মিল রান্না পুরানো গোষ্ঠীর

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছ’বছর পর ঝালদার সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৯ এপ্রিল: ভাতা বাড়তেই শুরু হয়েছিল মিড ডে মিল রান্নার দখল। স্কুলের রান্নার দায়িত্ব নিতে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে গড়ায়। ছয় বছর পর উচ্চ আদালত রায় দেয় পুরনো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পক্ষে। আদালতের নির্দেশে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় পুরানো গোষ্ঠী শুরু করলেন বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল রান্না। ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের ইচাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কেন্দুয়াডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের কেন্দুয়াডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল কোন গোষ্ঠী করবে রান্না? ২০১৭ সালে সেই নিয়ে ঝামেলা বেধে যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মধ্যে। মিলের রান্নার ঝামেলা গিয়ে পৌঁছায় উচ্চ আদালতে। মিডডে মিল রান্না নিয়ে গ্রামের ৭টি মহিলা স্বনির্ভর দলের সাথে রান্নার দায়িত্বে থাকা মহাবীর সংঘ মহিলা সমিতির সাথে বিবাদ চললেও স্কুলের রান্নার দখল নেয় ওই সাতটি গোষ্ঠী। সেই সময় কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দুয়াডি গ্রামের রান্নার প্রথম থেকে দায়িত্বে থাকা মহাবীর সংঘ মহিলা সমিতি। বিচারাধীন অবস্থাতেও প্রভাব খাটিয়ে সেই সময় থেকে রান্না করে আসছিল গ্রামের ৭ টি নতুন মহিলা স্বনির্ভর দল। অবশেষে সেই মামলায় অবশেষে উচ্চ আদালত রায় দেয়, যে স্বনির্ভর দল আগে রান্না করতো অর্থ্যাৎ মহাবীর সংঘ মহিলা সমিতিই রান্না করবে, অন্য কোনো দল নয়। সেই মতো আজ তারা ঝালদা থানা ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে প্রায় ছয় বছর পর পুনরায় দায়িত্ব পেল মিড ডে মিল রান্নার। মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্ব পেয়ে খুশি মহাবীর সংঘ মহিলা সমিতির সদস্যরা।

ওই গোষ্ঠীর সদস্যা খুকিবালা মাহাতো বলেন, “আমরা স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না প্রথম থেকেই করে আসছিলাম। যখন ভাতা একটু বাড়ল তখনই এর দখল নিতে ঝামেলা শুরু করে কিছু গোষ্ঠী। আমরা ওদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছিলাম না। তাই ওদের রান্নার ভার দিতে বাধ্য হই এবং এর বিহিত চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। ছয় বছর পর আমরাই ওই স্কুলের মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্ব পেলাম। ভালো লাগছে।”

বিবাদ ঝামেলার মাঝে থাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ আজ থেকে স্বস্তি পেল। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নীলিমা দেবী বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে আজ থেকে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্ব পেল আগেরই মহাবীর সংঘ স্বনির্ভর গোষ্ঠী।”

এদিকে গ্রামের বাকি সাতটি মহিলা দলও রান্নার দাবিতে ফের উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *