আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১১ ডিসেম্বর: একদিকে আদালত ও অন্যদিকে রাজনৌতিক বিতর্ক। এই দুইয়ের যাঁতাকল থেকে বেড়িয়ে রবিবার রাজ্যের সব জেলার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার ৩৮ টি কেন্দ্রে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা শেষ হল। ৫ বছর পর প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়ে খুশি পরীক্ষার্থীরা। তবে এবার প্রশাসনের কড়াকড়ি ছিল যথেষ্ট। এরপরেও শিক্ষক নিয়োগ কতটা সচ্ছতাভাবে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। তবে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্ষদের নতুন কিছু নির্দেশিকা এবার নেওয়া হয়েছে। যেমন পরীক্ষার্থীর শরীরে ধাতব জাতীয় কিছু রাখা যাবে না। এছাড়া জলের বোতল নেওয়া যাবে না।
গত ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় গত দুই মাস থেকে উত্তাল রাজ্যে রাজনীতি। ফলে চাপে রাজ্য সরকার। এর মাঝে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হল।
জলপাইগুড়ি জেলায় এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫,৭১৯ জন। নিরাপত্তা ছিল যথেষ্ট। জলপাইগুড়ি শহর ও শহরতলী এলাকায় মোট ১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। এ দিন পরীক্ষা শেষ হতেই হাসি মুখে বেড়িয়ে আসেন অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরা।
মালবাজার থেকে আসা এক পরীক্ষার্থী শম্পা দে বলেন, “পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। সোনার জিনিস পরে এসেছি খুলে যেতে হল এটা অসুবিধে হয় সকলের। ব্যাগ রাখার জায়গা করা হলে ভাল হত।” আরও এক পরীক্ষার্থী মাম্পি সরকার বলেন, “পাশ করার পরেও চাকরি পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। যা দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এত কড়াকড়ি লোক দেখাল। আসল জায়গা গলদ কাটিয়ে সচ্ছ দুর্নীতি করা দরকার।”