Mock drill, সাইরেন-ব্ল্যাক আউট-উদ্ধার কাজ! আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে হবে মকড্রিল

আমাদের ভারত, ৬ মে: জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁমে জঙ্গি হানার পর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের ভাবনা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই মকড্রিলের ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দেশ জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় এই মহড়া হবে।

অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও চলবে মকড্রিল। তা নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে মঙ্গলবার। আজ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজের মুখ্য সচিব সহ সিভিল ডিফেন্স সচিব, ডিজি সিভিল ডিফেন্স সহ অন্যান্যরা। সেই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, বাংলা যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য, পাশাপাশি নেপাল, ভুটান রয়েছে তাই এখানকার সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে নিজের মতো করে সংবেদনশীল এলাকা চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলার মোট ২৩টি জেলায় ৩১টি মকড্রিল হবে। মোট তিনটি বিভাগ বা ক্যাটাগরিতে এটা হবে। এক দুই তিন ভাগে বলা হয়েছে, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, বার্নপুর আসানসোল, ফারাক্কা, খেজুরি ঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙ্গা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদে মহড়া হবে।

রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের হাতে ৬২টি স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। কলকাতায় সাইরেন রয়েছে ৯৫টি। বিভিন্ন জেলায় সাইরেন রয়েছে ২৫ থেকে ৩০টি করে। আর জেলা সদরে রয়েছে একটি করে। এও বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সাত দিন পর্যায়ক্রমে মকড্রিল হবে রাজ্যজুড়ে। তবে এতে এখুনি সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হবে না। নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরিক সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডরা। এছাড়া মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহেরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য, স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের। মূলত যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিমান হামলা সতর্কতা। সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা, নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সাধারণ মানুষ বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাক আউট হলে কী করণীয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানো হবে তা হাতে কলমে করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *