আমাদের ভারত, ১৫ জুন:
মহিলা ভোটকে নিশ্চিত করতে এবং মহিলা উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্যে মহিলাদের জন্য। কিন্তু এবার এই সমস্ত কিছুকে টপকে নিজের রাজ্যের মহিলাদের জন্য এটি বড়সড় উদ্যোগ নিল ওড়িশার নতুন বিজেপি সরকার। সুভদ্রা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর হবার লক্ষ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেবে ওড়িশার বিজেপি সরকার।
লোকসভা ভোটের পাশাপাশি ওড়িশাতে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। এই প্রথমবার সেখানে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। নবীন পট্টনায়ককে সরিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মোহন চরণ মাঝি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। আর এর পরই বড়সড় ঘোষণা করা করেছে বিজেপি সরকার। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া, চাষীদের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করা ও মহিলাদের জন্য সুভদ্রা প্রকল্প চালু করা।
ওড়িশার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এবং শিশুদের কল্যাণে বিজেডি সরকারের প্রয়াস বিফলে গিয়েছে। তাই নতুন সরকার ১০০ দিনের মধ্যেই সুভদ্র যোজনা চালু করবে। এর অধীনে প্রত্যেক মহিলাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই যোজনার রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিধানসভা নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে বিজেপির প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে একটি ছিল, এই “সুভদ্রা যোজনা।” আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পের কথা বলা হয়েছিল। সুভদ্রা যোজনায় ওড়িশার মহিলারা ৫০ হাজার টাকার ভাউচার পাবেন, যা তারা দুই বছরের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এই টাকা তারা তাদের পরিবারের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। এর আগে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে এই ধরনের প্রকল্প অত্যন্ত কার্যকর হয়েছে।
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে, ওড়িশার বাসিন্দা হতে হবে আবেদনকারীকে। সুভদ্রা যোজনার আওতায় শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলারাই যোগ্য হবেন।
এছাড়া, প্রতিটি পরিবারে শুধুমাত্র একজন সুবিধাভোগী থাকবেন। এইক্ষেত্রে মহিলার বয়স ২৪-৫৯ এর মধ্যে হতে হবে। যে নারী কোনো সরকারি সরকারি চাকরির সঙ্গে যুক্ত, তিনিএই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। তবে, এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্যও থাকবে।