আমাদের ভারত, আরামবাগ, ২৬ নভেম্বর: প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আতঙ্কে স্কুল বয়কট করল গ্রামবাসীরা। স্কুলে কোনও ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা। এরফলে অচলাবস্থা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায় পুঁটিখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষকরা স্কুলে এলেও আসছে না ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলে মিডডে মিলের রান্না বন্ধ। কারণ এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃত ছাত্রীর নাম জয়িতা প্রামানিক প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। জলে ডুবে মৃত্যু, না জলের মধ্যে গলাটিপে মেরে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এই নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা সঠিক তদন্ত দাবি করেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনরা।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে ,খানাকুলে নন্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী জয়িতা প্রতিদিনের মত স্কুলে গিয়েছিল। টিফিনের পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একই স্কুলে পড়তো ভাই জয়জিৎ প্রামানিক। সে দিদিকে খুঁজে না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে জানায়। তারই সাথে তার বাবা মাকে জানায় সে। জয়িতাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্কুলের পিছনের একটি খালের অল্প জলের থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে জলে ডুবে তার মৃত্যু হয় তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজনদের মনে।
ছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকে অন্যরা স্কুলে আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নন্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশোভন রম জানান, স্কুলের শিক্ষকরা আসলেও আসছে না কোনও ছাত্র-ছাত্রী। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা না আসার কারণে মিড ডে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রী খুনের ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছেন প্রধান শিক্ষক–ও। এ বিষয়ে ভিডিও কে জানানো হয়েছে, যাতে দ্রুত অচলাবস্থা কাটে। স্কুল দপ্তরের আধিকারিক শেখ আব্দুল ফজল বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি অচলাবস্থা কেটে যায়, ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাতে আসে।