Supreme Court, Hindu, Puja, Gyanvapi, ফের ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ! জ্ঞানব্যাপীতে হিন্দুদের পুজো আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের

আমা ভারত, ১ এপ্রিল: এলাহাবাদ হাইকোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলো জ্ঞানব্যাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষ। হিন্দুদের পুজো আরতি বন্ধ করতে অস্বীকার করল শীর্ষ আদালত। মসজিদের তহখানায় হিন্দু পক্ষে ধর্মীয় অধিকার আছে বলা হয়েছে। তাই হিন্দু পক্ষের পুজো আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল। এরফলে বড়সড় ধাক্কা খেল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তবে মুসলিমরাও জ্ঞানব্যাপীতে নমাজের আয়োজন করতে পারবেন। এই নির্দেশে খুশি মুসলিম পক্ষ।

জ্ঞানব্যাপীর তহখানায় পুজোর অনুমতি নিয়ে বারানসি জেলা আদালতের রায়ের পর এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। সেখানেও পুজো চলবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। এবার পুজো বন্ধের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদি ওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, জ্ঞানব্যাপীতে মোট চারটি তহখানা রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রার্থনা চলতো। সেখানে নতুন করে পুজো শুরু হয়েছে। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, চলতি বছরে ১৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশের পরে মুসলিম সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে নমাজ পড়ছেন। অন্যদিকে হিন্দুদের পুজোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে। উভয় সম্প্রদায় শর্ত মেনে উপাসনা করতে পারবে। আদালত জানিয়েছে, তহখানায় পুজোর অনুমতির বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী জুলাই মাসে।

এর আগে এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে মসজিদের ওজু খানায় শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে হনুমান, বিষ্ণু, নন্দীর মূর্তিও থাকার কথা জানা গেছে রিপোর্টে। রয়েছে মধ্যযুগীয় দেবদেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্য। অর্থাৎ বিভিন্ন দেবদেবীর সন্ধান পাওয়ায় সেখানে হিন্দু সংস্কৃতি থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। এই অবস্থায় হিন্দু পক্ষকে পুজোর অনুমতি দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০২১- এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানব্যাপীতে মা শৃঙ্গার গৌরী এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেব দেবীর মূর্তির অস্তিত্ব দাবি করে তাদের পুজোর অনুমতি চেয়েছিলেন বারানসি আদালতে। সেই মামলায় বারানসি দায়রা আদালতের বিচারক রবি কুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফি। পরে আদালতে জমা পড়ে এএসআই রিপোর্টও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *