পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৫ জানুয়ারি: মঞ্চে পরিবেশন হচ্ছে জাতীয় সঙ্গীত, বেমালুম মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। নিন্দার ঝড় বালুরঘাটে। সোমবার ঘটনাটি বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বইমেলায়। এদিন ২৫তম বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে আসেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। যেখানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে বিধায়ক সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানের তালিকা অনুযায়ী সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের কথা উল্লেখও করা হয় এদিন। কিন্তু বেমালুম মন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে তার নিকট লোকজনের সাথেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে অনান্য সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শ্রদ্ধার সাথে মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হলেও বেমালুম থাকতে দেখা যায় রাজ্যের ওই মন্ত্রীকে। যাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বইমেলা চত্বরে। যদিও সবশেষে সাংবাদিকদের তোড়জোড়ে বিষয়টি বুঝতে পারেন মন্ত্রী। কিছুটা হতচকিত হয়ে মাঠের মাঝেই অনুগামীদের সাথে দাঁড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি একজন মন্ত্রীর এমন অবহেলার বিরুদ্ধে এদিন অনেককেই সরব হতে দেখা যায়। যা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বইমেলা চত্বরেও।
বালুরঘাটের বাসিন্দা তথা পেশায় শিক্ষক কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, সংবিধানের নিয়ম মেনে দেশ ও জাতীর সেবা করবার জন্য একজন মন্ত্রী শপথ নেন। জাতীয় সঙ্গীত দেশবাসীর গর্ব। স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতকে সন্মান জানায়। এটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে দুর্ভাগ্য যে স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যা জানেন, একজন মন্ত্রী হয়ে তা তিনি জানেন না।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা অনেকেই জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকাকে সন্মান জানান না। এর আগে তাদের এক মন্ত্রীকে ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও দেখা গেছে। সিদ্দিকুল্লাবাবু তৃণমূলের নন, উনি একটি ইসলামিক সংগঠনের মাথা। যাদের জাতীয় সঙ্গীতে থাকা অনেক শব্দ নিয়েই আপত্তি রয়েছে।এরা ভারতকেই সন্মান করে না। খুব বেশিদিন নেই, জনগণই এদের উচিত শিক্ষা দেবে।