আমাদের ভারত, ২২ মে: পুজো করতে চাই জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত শিবলিঙ্গের সামনে গিয়ে। আদালতে এমন আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মহন্ত কুলপতি ত্রিপাঠী। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে মসজিদ কর্তৃপক্ষ যে দাবি করেছে ওটি শিবলিঙ্গ নয় প্রাপ্ত গোলাকার বস্তুটি আসলে ফোয়ারা, মসজিদ কমিটির এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন মহন্ত।
তার কথায় জ্ঞানপাপীতে মা শৃঙ্গার গৌরী মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ ছিল। দেওয়ালের উত্তর দিকে ছিল কুয়ো। পশ্চিম দিকে ছিল নন্দী মূর্তি। মন্দিরের উত্তর দেওয়ালে ছিল তিনটি দোকান। একজন চা বিক্রেতা ছিলেন, চুরি বিক্রি করতেন এক মুসলিম মহিলা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের সময় থেকে। সেই সময় মহন্ত পান্না কুয়োতে লাফিয়ে পড়েন শিবলিঙ্গটিকে নিয়ে।
কুলবতী ত্রিপাঠী চাইছেন শিবলিঙ্গের আশপাশের অঞ্চল মুক্ত করে দেওয়া হোক। যাতে সেখানে হিন্দুরা এসে প্রার্থনা করতে পারেন। তাঁর আরও দাবি, ওই শিবলিঙ্গটি ৫১ ফুট দীর্ঘ। মহাদেবের মূর্তির নিচে প্রাচীন গয়নাও মিলবে মাটি খুঁড়লে। আর সেই কারণেই উত্তর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের দেওয়াল ভাঙ্গার দাবি তুলেছেন। তিনি ২০২১-র আগস্ট মাসের ৫ জন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীতে মা শৃঙ্গার গৌরীর এবং মসজিদের অন্দরে পশ্চিম দেওয়ালের দেবদেবীর মূর্তি অস্তিত্বের দাবি করে সেখানে পূজার্চনা করার অনুমতি চেয়েছিলেন বারানসি আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারানসি আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর শুরু হয়েছিল ভিডিওগ্রাফি সার্ভে। এরপরেই শিবলিঙ্গটি পাওয়া যায় বলে খবর। জ্ঞানবাপী মামলাটি নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওই অংশটি। তাদের নমাজ পাঠ বন্ধ করা যাবে না। সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যারা সেখানে নমাজ পাঠ করতে চান তাদের সেখানে যেতে দিতে হবে। এরইমধ্যেই কাশী বিশ্বনাথের মহন্ত প্রাপ্ত শিবলিঙ্গটি পুজোর দাবি তুললেন।