Sukanta, Firhad, “লুটেরাদের শেষ ঘন্টা বেজে গেছে”, ফিরহাদ আক্রান্তের খবরে মন্তব্য সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১৭ জুন: “কালিগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে জনরোষে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।” মঙ্গলবার এই মন্তব্য করে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্তবাবু সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মানুষ মুখের ওপর স্পষ্ট বলে দিল — “ভোট দেবো না! এই অঞ্চল থেকে একটাও ভোট তোমরা পাবে না, কারণ রাস্তা বানাওনি। রাস্তা নেই, কিছু নেই শুধু ভোটের সময় আসো?”

গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ জনগণের অভিযোগ একটাই: ভাঙ্গাচোরা, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা, যেখানে উন্নয়নের নামগন্ধও নেই। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা নাকি তৈরিই হয়ে গেছে। এটাই সেই “পথশ্রী-রাস্তাশ্রী” নাটক, যার ঘোষণা চলেছে চার বছর ধরে— কাজ কোথায়?

🔹 ২০২২ সালে ₹৩,১৪৭ কোটিতে ১৪,৪১৬ কিমি রাস্তা বানানোর কথা ছিল — কোথায় গেল?
🔹 ২০২৩-এ ₹৩,৩০১ কোটিতে ১২,০৭১ কিমি রাস্তা — কিছুই তো নেই!
🔹 ২০২৪-এ ₹৩,৮৬৮ কোটিতে ১২,০০০ কিমি রাস্তা আধুনিক করার দাবি — কোথাও খোঁজ নেই!
🔹 ২০২৫ বাজেটে তো সরাসরি দাবি করা হল ₹১,৫০০ কোটিতে ৩৭,০০০ কিমি রাস্তা সংস্কার! শুনেই বোঝা যায় ভাঁওতা!

হিসেব স্পষ্ট — হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও, আর গ্রামের মানুষ হাঁটে কাদামাটির ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে। আটকে যায় মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স। জীর্ণ ভাঙ্গাচোরা গ্রামীণ রাস্তায়
দূর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন।

কালিগঞ্জের মানুষ এবার আর চুপ করে থাকেনি। তারা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলে দিয়েছে — ভোট চাইতে এলে প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে। উন্নয়নের নামে লুট আর চলবে না।

তৃণমূলের “উন্নয়ন” আসলে এক দুর্নীতির কারখানা — নাম করে রাস্তা বানানোর, আসলে বানায় কমিশনের খাতা।

বাংলা আজ জেগে উঠেছে — নিরীহ মানুষদের ঠকানো আর নয়। দুর্নীতির তামাশা শেষ হবে, গণরোষ শুরু হয়ে গেছে। লুটেরাদের শেষ ঘন্টা বেজে গেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *