আমাদের ভারত, ৪ অক্টোবর: কর্ম বিরতি তুলে নিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। ধর্মতলার মহাসমাবেশ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তবে তারা জানিয়ে রাখলেন, শুক্রবার থেকে লাগাতার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং- এ অবস্থানে বিক্ষোভে সামিল থাকছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাতে রাজ্য সরকারকে তারা একটা বার্তা দিতে চান যে তারা কাজে ফিরছেন। পাশাপাশি রাস্তায় থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছেন তারা গণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ধর্মতলার অবস্থান থেকেই দেবাশীষ হালদার ঘোষণা করেন, “গণ আন্দোলন বজায় রেখে রোগীদের কথা মাথায় রেখে আমরা কর্ম বিরতি আজ থেকে প্রত্যাহার করছি। জিবি মিটিংয়ে এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটা যদি মনে হয় রাজ্য সরকার ভয় দেখাচ্ছে, ভাবছে জনগণ আমাদের পাশে নেই, ভয় পেয়ে কর্ম বিরতি তুলে নিচ্ছি, তাহলে ভুল ভাববে রাজ্য সরকার। আসলে জনগণ আমাদের পাশেই রয়েছে।
কর্ম বিরতি তুললেও আন্দোলন আরো তীব্রতর হতে চলেছে বলে আভাস দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। দেবাশীষ হালদার বলেছেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং- এ লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিচ্ছি। আমরা কাজে ফিরছি এবং এখানে বসে থেকে বুঝিয়েও দিচ্ছি আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তাতেও আছি।
সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর দশ দফা দাবিতে কর্ম বিরতিতে সামিল হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাতে প্রশ্ন ওঠে নতুন করে দশ দাবি কী? আজ তার ব্যাখ্যা দেন দেবাশীষবাবু। তিনি বলেন, “আমাদের ১০ দফা দাবি আসলে দুটো দাবি। প্রথম দাবি ন্যায় বিচার, বাকি সব দাবি জড়িয়ে রয়েছে আর একটাতেই। যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমাদের আন্দোলন। তাদের কথায় এই লড়াই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ও নিরাপত্তার স্বার্থে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেছেন, কর্ম বিরতি যদি আমাদের দাবি পূরণের অন্তরায় হয় তাহলে কর্ম বিরতি তুলে নিলাম। কাল রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময়, সেই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে অনশন শুরু হবে। ঘটনার মোটিভ সামনে আনতে হবে। আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না তারা।