এক যুবকের মৃত্যুর পর রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হল রামপুরহাট হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৪ এপ্রিল: পাঞ্জাবের এক যুবকের মৃত্যুর পর রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গড়ে ওঠা আইসোলেশন বিভাগ। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রামপুরহাট শহরে। মৃত যুবকের মুখের লালার পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন এম এস ভি পি সুজয় মিস্ত্রি।

প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত উপসর্গ নিয়ে প্রথমে রাজগ্রাম উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন অমৃত সিং (৩৫) নামে এক যুবক। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যার দিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাড়ি পাঞ্জাবের বানার জেলার তাপামান্ডি থানার তেয়েন্ডা গ্রামে। হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হয়। অনেকটা করোনা রোগের উপসর্গ থাকায় তার মুখের লালা নিয়ে পরীক্ষার জন্য কলকাতা বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান তার কোভিব ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শনিবার রাতেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগেই চিকিৎসকরা দ্বিতীয়বারের জন্য তার লালা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠায়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই যুবকের টিবি রোগে মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু যুবকের মৃত্যুর পর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এম এস ভি পি সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে আইসোলেশন বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। কারন একই ক্যাম্পাসের মধ্যে করোনা রোগী রাখা যায় না। এতে অন্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তাই পরিবর্তে তারাপীঠের একটি হোটেলে তৈরি করা আইসোলেশন ক্যাম্পে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রাখা হবে”।

সূত্রের খবর, যারা ওই যুবকের চিকিৎসা করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের হাসপাতালে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এবিষয়ে সুজয়বাবু বলেন, “মৃত যুবকের পরবর্তী রিপোর্ট আসেনি। ফলে কাউকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর কোনও নির্দেশ আসেনি”।

প্রসঙ্গত, মৃত যুবক পেশায় গম কাটা মেশিনের অপারেটার ছিলেন। লকডাউনের আগে মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমে মুরারই থানার বাঁশলৈ গ্রামে গম কাটার কাজ শুরু করেন। তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। শনিবার রাতে ওই যুবক মারা যান।
এদিকে পুলিশ কর্মীদের জন্যও আলাদা আইসোলেশন বিভাগ করা হয়েছে। তারাপীঠের একটি হোটেলের ৪০টি ঘর নিয়ে ওই আইসোলেশন ক্যাম্প করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *