সোনাখালিতে ভাসমান জেটি তৈরির উদ্যোগ পরিবহণ দফতরের

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৫ ডিসেম্বর: সোনাখালিতে ভাসমান জেটি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্য পরিবহণ দফতর। গত বৃহস্পতিবার দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা এলাকা পরিদর্শন করেন। দ্রুত জেটি তৈরির কাজ শুরু হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশা বাসন্তীর সোনাখালি জেটি ঘাটের। এই জেটি দিয়ে ওঠা- নামার সময় অনেকবারই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে যখন সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে তখন এই সরু এবং ভগ্নপ্রায় জেটি দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। এ বিষয়ে বার বার পর্যটন ব্যবসায়ী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে আবেদন নিবেদন করেছিলেন এই এলাকায় একটি ভাসমান জেটি তৈরির জন্য। এলাকার মানুষের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি লেখেন, দরবার করেন সোনাখালিতে ভাসমান জেটি তৈরির জন্য। বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য পরিবহণ দফতরের সহকারি বাস্তুকার দেবজ্যোতি রায় চৌধুরী আসেন বাসন্তীতে। বাসন্তীর বিডিও সঞ্জীব সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, সহ সভাপতি আতিয়ার রহমান মোল্লা, স্থানীয় প্রধান হায়দার গাজীকে সাথে নিয়ে সোনাখালি জেটি এলাকা সার্ভে করেন। দ্রুত যাতে এই এলাকায় হোগল নদীর উপর ভাসমান জেটি তৈরি করা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

সহকারি বাস্তুকার বলেন, “আমরা আজ প্রথম এই এলাকায় এলাম। ভাসমান জেটি নির্মাণের জন্য মাপজোক করা হয়েছে। দ্রুত বিস্তারিত প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” বিডিও বলেন, “এই জেটি দিয়ে সারা বছরই পর্যটক সহ এলাকার সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। জেটিটি সরু এবং নড়বড়ে হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। সেই কারণে এখানে একটি ভাসমান জেটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই মতো রাজ্য পরিবহণ দফতরের সহকারি বাস্তুকার এসেছেন। আশাকরি দ্রুত জেটি তৈরির কাজ শুরু হবে।”

স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী নিমাই মণ্ডল, সহদেব সর্দাররা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই ভাসমান জেটির আবেদন জানিয়েছিলাম। অবশেষে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা খুশি। ভাসমান জেটি হলে পর্যটকদের জন্য অনেকটা সুবিধা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *