রাজেন রায়, কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি: “৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির লালকেল্লা থেকে ভারতের পতাকা নামিয়ে কৃষক আন্দোলনের পতাকা তুলে দেওয়ার পর ক্ষত তৈরি হয়েছে প্রত্যেক ভারতবাসী হৃদয়ে। কিন্তু এই পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে আইন আনায় তা মানতে পারেননি কৃষকরা। তার পরেও কৃষকরা বারবার তাদের দাবি জানালেও কেন্দ্র সরকার অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে। তার ফলেই মঙ্গলবার দিল্লিতে এই ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে নয়া কৃষি আইন বাতিল করা।” প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে রাজধানী দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় বুধবার তৃণমূল ভবনে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, এতদিন ধরে কৃষকরা দিল্লির রাস্তায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। ৭ জন কৃষক মারা যাওয়ার পরেও কোথাও কোনও অশান্তি, বিক্ষোভ বা হিংসার ঘটনা ঘটেনি। এদিকে গতকালকের মিছিল ঘিরে যে ঘটনা ঘটল তা অনভিপ্রেত। এর তাৎক্ষণিক বিচার করা সম্ভব নয়, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০০-রও বেশি পুলিশকর্মী। ইতিমধ্যেই হিংসার ঘটনায় ২২টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করার পাশাপাশি এদিন সুব্রতবাবু আরও দাবি করেন যে, “রাজ্য জুড়ে সফল দুয়ারে সরকার। ২ কোটি ৫৫ লক্ষ লোক চার দফায় মোট ২৫ হাজারের বেশি ক্যাম্পে এসেছেন। ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়েছেন ৭৪ লক্ষ ২৬ হাজার জন। খাদ্যসাথীতে ১৩ লক্ষ ৩৯ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। এরপর মানুষই বিচার করবেন কারা মানুষের পাশে আছে।’