আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৩০ জানুয়ারি: পদাধিকার বলে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখ জেলা কোর কমিটির সদস্য। বীরভূমের অবজারভার, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরাহাদ হাকিম এই দাবি করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা পাঁচ সদস্যের নতুন কোর কমিটির প্রথম সভায় ডাক পেলেন না সেই কাজল শেখ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি এড়িয়ে যান কোর কমিটির সদস্যরা।
বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে। ফলে দল চালাতে ৯ জনের কমিটি গড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৩ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের ডেকে কোর কমিটি কাটছাঁট করে ৫ জনে দাঁড় করান। নতুন কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় কাজল শেখ, বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়, বোলপুর সাংসদ অসিত মালদের। বিশেষ করে কাজলকে বাদ দেওয়ায় বীরভূম জেলা জুড়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। বলতে শোনা যায় অনুব্রত গোষ্ঠীর উপর–ই ভরসা রাখলেন মমতা। এনিয়ে তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কাজল জেলা পরিষদের সভাধিপতি। গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধিকার বলে উনি কোর কমিটির সদস্য”। কিন্তু এদিন কোর কমিটির প্রথম সভায় কাজলকে ডাকা হয়নি। এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রয়োজনে উনাকে ডাকা হবে। সিউড়ি ও বোলপুরে সভা হবে। সেখানে কাজল থাকবে। আর ফিরহাদ কী বলেছেন তাঁর উত্তর আমি দেব না।”
অন্যদিকে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নতুন সভাপতি করা হয়েছিল রেজাউল হককে। এনিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিনের কোর কমিটির সভায় সভাপতি রেজাউল হক’কে রেখে পাঁচ জনের কোর কমিটি করে দেওয়া হয়।