আমাদের ভারত, ২১ এপ্রিল: মধ্যপ্রদেশের গুনায় একমাস ধরে লাগাতার এক ২৩ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্মম অত্যাচার করার অভিযোগে এক মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর রবিবার তার বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়িটি বেআইনি নির্মাণ হবার কারণে মধ্যপ্রদেশ সরকার বাড়িটিকে ভেঙ্গে ফেলতে বলেছে। অভিযুক্তের নাম আয়ান পাঠান। পেশায় সে শ্রমিক। আয়ানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার। তরুণীর মা তাকে আয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বার বার বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তরুণী সেটা শোনেনি। জানা যায়, অভিযুক্তের নজর ছিল ২৩ বছরের ঐ তরুণীর বাড়ির দিকে। সে ধর্ম পরিবর্তন করে ওই তরুণীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়েছে।
এদিকে ওই তরুণীর বাড়ির মালিক ছিল ওই তরুণীর মা। আয়ান ওই মহিলাকেও চাপ দেয়, যাতে গোটা সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়া হয়। কিন্তু এই মহিলা তাতে রাজি না হওয়ার তরুণীকে ঘরবন্দি করে অত্যাচার চালাতে শুরু করে আয়ান।
তদন্তকারী পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত আয়ান শুধু ধর্ষণ নয়, বেল্ট, বড় পাইপ দিয়ে ওই নির্যাতিতাকে মারধর করত। এর পর নির্যাতিতার ক্ষতস্থানে লঙ্কার গুঁড়ো ঢালতো। যন্ত্রণায় ছটফট করে চিৎকার করলে আয়ান তার মুখে ফেবি কুইক আঠা দিয়ে আটকে দিত। যাতে ওই তরুণী কোনো ভাবে চিৎকার করতে না পারে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপর পুলিশ রবিবার আয়ানের বাড়ি বুলডোজার গুঁড়িয়ে দিল।