চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি: অপারেশন মধ্যপ্রদেশ সফল। সরকার বদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পঞ্জাব, রাজস্থানে রদবদলও কঠিন নয়। এবার কংগ্রেসমুক্ত ভারত গঠনে গেরুয়া শিবিরের সবচেয়ে বড় কাঁটা বলতে রইল এনসিপি আর তৃণমূল। কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা দল হিসেবে তৃণমূল বেড়ে উঠলেও তাকে কংগ্রেসেরই লেজুড় বলে মনে করে করেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বাজপেয়ী জমানাটুকু বাদ দিলে জাতীয়স্তরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয়স্তরে খুঁটি বলতে সেই কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। যেমনটা তিনি যুব থেকে মূল- কংগ্রেসের বিভিন্নস্তরে থাকার সময়ও ছিল। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের নামের সঙ্গেও কংগ্রেস শব্দটা রয়েছে।
একই কথা শরদ পাওয়ারের দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সেখানেও ইতিমধ্যে জোট সরকারের মধ্যে বিবাদ বাড়ছে। তার ওপর শরদ পাওয়ার অসুস্থ। তিনি না-থাকলে এনসিপির ভবিষ্যৎ কী, তা বলা যে কোনও বিশেষজ্ঞের কাছেই বেশ কঠিন। এই অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের ঘটনা সব বিজেপি-বিরোধী দলের ওপরই চাপ বাড়াল। বিশেষ করে এরাজ্যের শাসক দলের ওপর চাপটা বেশি পড়েছে। কারণ, সামনেই পুরভোট।
তার ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁর নিজের দলের নেতারাই খুশি নন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের লোকজনের দুর্ব্যবহারই দায়ী। কংগ্রেসে থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নেতাদের পিছনে ঘুরতেন, বর্তমানে তাঁদেরই তিনি যারপরনাই অপমান করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভ্যন্তরে চালু রসিকতা হল, দলনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তৃণমূলের বহু নামী নেতাই নাকি আয়নায় নিজের মুখ দেখেন আর চোখের জল ফেলেন। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে গেরুয়া শিবির আরও তেড়েফুঁড়ে লাগলে, তৃণমূলের বহু নেতাই দলবদল করতে পারেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতাই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। পুরভোটের পর তাঁদের অনেককেই দেখা যেতে পারে গেরুয়া শিবিরে। একেবারে মধ্যপ্রদেশের মতোই।