আমাদের ভারত, ৯ জানুয়ারি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলো শিয়ালদা আদালতে। আগামী ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করা হবে।
গত ১১ নভেম্বর থেকে আর জি কর ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। টানা দু’মাস বিচার প্রক্রিয়া চলছে এই মামলায়। সিবিআই আগেই এই মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছিল। সেখানে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালতে তার সর্বোচ্চ সাজার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
অন্যদিকে সিবিআই- এর দাবির বিরোধিতা করে আদালতে ধৃতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নন। গোটা ঘটনাটি সাজানো। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে অভিযুক্তকে। বুধবার আদালতে ধৃতের আইনজীবী জানান, নির্যাতিতার শরীরে কোনো ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পোশাকও কোথাও ছিঁড়ে যায়নি। ফলে সিবিআই যা বলছে তা সঠিক নয়। সিবিআই- এর দেওয়া তথ্য প্রমাণ পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবী। যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে একজনই অভিযুক্ত। একজনের পক্ষে যে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রিপোর্টেও সেই তথ্য প্রমাণ উল্লেখ করে ধৃতে সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, একজনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয় বলেই তারা মনে করেন। নতুন করে আরো বিশদ তদন্ত হোক চান নির্যাতিতার বাবা-মা। সব পক্ষের বক্তব্য শুনেছে আদালত। ধৃতের আইনজীবীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নিজেদের অবস্থান জানায় সিবিআই। শিয়ালদা আদালতে রুদ্ধদ্বারে এই বিচার প্রক্রিয়া চলেছে।
গত ৯ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি সেই রাতে হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন। ধৃত সিভিককে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই সেমিনার হলে ঢুকতে এবং বেরতে দেখা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশ ঘটনার পরের দিন তাকে গ্রেফতার করে। এরপর এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই।