রাজেন রায়, কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর: রাজ্যে প্রয়োজন আরো বেশি মেডিক্যাল কলেজ। তার জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী রাজ্য সরকারও। তাই নিয়ে এবার স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে নেওয়া হল এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। জানানো হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মেডিকেল কলেজ তৈরি করতে চাইলে ক্যাম্পাসের জন্য সরকারি হাসপাতাল ভাড়া নিতে পারবে।
গত কয়েক দশক ধরে রাজ্যে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রাজ্যে ব্যবসা করে চলেছে। এই সমস্ত হাসপাতালে সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভিন রাজ্যের এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরের মানুষজনও। যাদের সবসময় সরকারি ক্ষেত্রে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এই সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি মেডিকেল কলেজ তৈরি করে পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করে, তাতে পড়ুয়ারা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। আর তার জন্য আলাদাভাবে জমি দেখতে বা কিনতে হবে না। সরকারি হাসপাতালে জমি লিজ হিসেবে ভাড়া দেবে স্বাস্থ্য দপ্তর।
এই বিষয়ে আগ্রহী প্রাইভেট সংস্থাগুলিকে আবেদনপত্র ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশনের গাইডলাইন মেনেই ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দফতর সূত্রে খবর, এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয়গুলির মধ্যে হল ৩০০ বা তার বেশি শয্যার হাসপাতাল। ফলে আগ্রহ ও অর্থ থাকলেও স্রেফ রেডিমেড হাসপাতাল না থাকায় রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষায় বেসরকারি বিনিয়োগ পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন এই সুযোগ মিলতে চলেছে। হাসপাতালের ভাড়া কত হবে সেগুলি পরবর্তীকালে ঠিক করা হবে।
যদিও চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, সরকারি হাসপাতালে গরিব, মধ্যবিত্তরা চিকিৎসা পান। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সেই হাসপাতাল নামমাত্র টাকায় ভাড়া নিয়ে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশনের ছাড়পত্র আদায় করবে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করে ব্যবসা করবে। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, যেমন এতদিন নিখরচায় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা চলত, এই ধরণের চুক্তির ক্ষেত্রেও চাই চলবে। বেসরকারি সংস্থা কোনও ভাবেই ভাড়ায় নেওয়া হাসপাতালের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এটা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।’