পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ এপ্রিল: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথধাম মন্দিরের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সমগ্র বিষয়টিকে বাংলায় সনাতনের জয় ও সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বলে মন্তব্য করলেন হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী। আজ সমগ্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মঞ্চে প্রথম সারিতেই দেখা গেল হিন্দু মহাসভার রাজ্য কমিটির ছয়জনের প্রতিনিধি মণ্ডলীকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আজ মন্দির প্রাঙ্গণে সঙ্গীত পরিবেশন করেন পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, জিৎ গাঙ্গুলি, অদিতি মুন্সী, নচিকেতা চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইমন চক্রবর্তীর মত বিশিষ্ট শিল্পীরা। এরপর নৃত্য পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলি এবং তাঁর ছাত্রছাত্রীরা। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল ঠিক তিনটে দশে দিঘা জগন্নাথধামের দ্বারোদঘাটন করেন।
সরকারি টাকায় মন্দির স্থাপনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, হিন্দু মহাসভা বরাবরই সারা দেশে মন্দির স্থাপনের পক্ষে। কোনো স্থানে এই রকম বড় মন্দির গড়ে উঠলে একদিকে যেমন মানুষের ধর্মাচরণের সুযোগ হয়, আবার অন্যদিকে সেই স্থানে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যার মাধ্যমে অঞ্চলের মানুষদের আর্থিক উন্নতি ও রুটিরুজির সংস্থান হয়। তাই জগন্নাথ মন্দির সরকারি টাকায় করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই।
তিনি আরো বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল হিন্দু মহাসভার, আর আজ পশ্চিমবঙ্গে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের মুহূর্তেরও সাক্ষী থাকলো হিন্দু মহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই প্রভু রামচন্দ্র যেমন ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার, সেই রকম জগতের নাথ জগন্নাথ দেবও ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আরেক রূপ। তাই মন্দির স্থাপনকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে আগামী দিনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এইভাবে বড় বড় মন্দির গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করে ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।