স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৬ জানুয়ারি:
শুরু হলো বহু প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি।প্রথম পর্যায়ে নদীয়া জেলার ১০টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে কল্যাণী মেডিকেল কলেজ, নদীয়া জেলা হাসপাতাল সহ আরও জেলার আটটি হাসপাতালে।
প্রথম দফায় করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা তথা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা যুক্ত আছেন
তাদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাক্সিনেশন করা হবে।
নদীয়া জেলায় প্রথম ভ্যাকসিন নিলেন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে সুপার ডাক্তার সোমনাথ ভট্টাচার্য।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার সহকর্মী সহ মানুষের ভয় কাটাতেই করোনার ভ্যাকসিন প্রথম আমি আমার দেহে প্রয়োগ করি। মানুষ অযথা ভয় পাচ্ছে। আমি নিজে প্রথম এই ভ্যাকসিন নিয়েছি। আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।আমি সবাইকে বলব এই ভ্যাকসিন নিতে এবং আমার যেসব সহকর্মী আছেন, যারা অসংখ্য অসুখের মধ্যে কাজ করছেন, সাধারন মানুষের সাহায্যের জন্য, সাধারণ মানুষকে সুস্থ করবার জন্য যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেইসব মানুষের কাছে এই সুযোগ পৌছাক। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি করোনা মুক্ত সমাজ গড়ে তুলি। আমরা এই লক্ষ্যে বলব আপনারা এটা প্রচার করুন করোনাকে ভয় পেয়ে লাভ নেই, কতগুলো সামান্য প্রতিরোধ এবং ভ্যাকসিনের সাহায্যে নিশ্চয়ই আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।
নদীয়া জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, সারা দেশের সঙ্গে আমাদের জেলার দশটা কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকাল ১০.৩০টা থেকে এই কর্মসূচি চলছে। ভ্যাক্সিনেশনের জন্য যে নিয়ম আছে সেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা মেনেই আমরা ব্যবস্থা করেছি। আজকে নদীয়া জেলার ১০টি কেন্দ্রে মোট হাজার জনকে ভ্যাক্সিনেশন করা হবে। নদীয়া জেলার প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের
সুপারিনটেনডেন্ট ডাক্তার সোমনাথ ভট্টাচার্যকে দিয়ে।