জলপাইগুড়িতে হাত পা বেঁধে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারলো বাবাকে, অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১২ জুন: হাত পা বেধে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরের কামাত গ্রামে। বাবা মানিক রায়কে খুন করার অভিযোগে ছেলে সঞ্জয় রায়কে আটক করল কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। অন্যদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রায় তিন বছর আগে গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন মানিক রায়। মানিকের তিন ছেলে, স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন বাড়িতে। পড়শিদের অভিযোগ, প্রায় দিনই পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে এই পরিবারের মধ্যে বচসা হয়। গ্রামবাসী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক বার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে বিবাদ চরমে উঠে। মাস খানেক আগেও সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রামে বৈঠক হয়। কিন্তু তারপরেও এ দিন সকাল থেকে বিবাদ শুরু হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল থেকে বাবা ও ছেলের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। বাবাকে দড়ি দিয়ে হাত পা বেধে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাঁশের আঘাতে বাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বাবা মানিক রায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

গ্রামবাসী দিলীপ রায় বলেন,
“পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে ছেলে বাবাকে খুন করেছে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ছেলেকে নিয়ে যায়। আমরা এই ছেলের শাস্তি চাই।”

এদিকে স্থানীয় বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা সামসুর নেহার বলেন, “অনেকবার বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছুতেই বিবাদ মিটছিল না। আজ শুনলাম ছেলে বাবাকে খুন করেছে। পুলিশ এসেছিল তদন্ত শুরু করছে। ছেলেকে নিয়ে গেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *