আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ২৩ জানুয়ারি: নির্বাচন এলেই পাড়ায় পাড়ায় দলীয় সমর্থকরা প্রচারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজেদের কাজ ছেড়ে তারা তখন প্রিয় দলের কাজে ব্যস্ত থাকেন। শিলিগুড়িতে পুরনির্বাচনেও এই চিত্র দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন ওয়ার্ডে। কিন্তু আচমকা নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় তারা প্রত্যেকেই মুষড়ে পড়েছেন। এখন কার্যালয় গুলিতে দিনের বেলাতেও আর ভিড় দেখা যায় না। কারণ এখন অনেকেই আবার নিজের কাজে যোগ দিয়েছেন। তাই সন্ধের পর কাজ সেরে ফিরে কর্মীরা কার্যালয়গুলিতে ভিড় জমায়।
নির্বাচন কমিশন প্রথমে জানিয়েছিল ২২জানুয়ারি শিলিগুড়িতে পুরনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেইমতই জোরদার প্রচার শুরু হয়েছিল ওয়ার্ডগুলিতে। পাড়ায় পাড়ায় দেওয়াল লিখন, ব্যনার, ফ্লেক্স ও পতাকা লাগানোয় ব্যস্ত ছিলেন কর্মীরা। দিনভর তারা এই কাজেই নিযুক্ত ছিলেন। সকাল হতেই কর্মীরা ভিড় জমাতেন দলীয় কার্যালয়ে। সেখান থেকেই নিজেরা কাজ ভাগ করে বেরিয়ে যেতেন। তারপর আবার প্রার্থীর সঙ্গে বাড়ি বাড়ি প্রচারেও যেতে হয়। আর এদের উপস্থিতিতে প্রার্থীরাও উৎসাহ পান। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে নির্বাচন পিছিয়ে ১২ফেব্রুয়ারি করা হয়। আর তারপর থেকেই ঝিমিয়ে পড়েন কর্মীরা। এখন তাদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে। তাই এদের একাংশ এখন আবার নিজেদের কাজে যোগ দিয়েছেন।
এক কর্মী ছোটন দাস বলেন, “নির্বাচন এগিয়ে আসতেই আমি ছুটি নিয়েছিলাম। দলকে ভালোবাসি তাই নির্বাচন আসলেই ছুটি নিয়ে কাজ করে থাকি। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় কাজে যোগ দিলাম। তবে আবার ছুটি নেবো ১০দিন আগে।” একই কথা বাকি কর্মীদেরও। এদিকে দিনভর খাঁ খাঁ করছে দলিয় কার্যালয়গুলি। যদিও সন্ধ্যার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভিড় জমান কর্মীরা। কাজ শেষ করেই প্রত্যেকে আসেন কার্যালয়ে। অন্যদিকে শহর থেকেও নির্বাচনের হাওয়া যেন থেমে গিয়েছে। গোটা শহরে ঘুরলেও বোঝাই যাচ্ছে না ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আছে। শহর যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।