আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৪ এপ্রিল: কলকাতা থেকে বীরভূমে পাথর বোঝাই করতে এসে প্রায় মাসখানেক ধরে আটকে পড়েছিলেন চালক ও খালাসি। যত দিন যাচ্ছে খাবারের জোগান কমে আসছিল। বাধ্য হয়ে একটি সাইকেলে চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তাঁরা।
প্রদীপ কীর্তন ও কার্তিক বাড়ুই। একজন চালক, অন্যজন লরির খালাসি। দুজনেরই বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ফলতায়। ১৮ মার্চ তাঁরা সর্ষের তেল নিয়ে ঝাড়খণ্ডের দুমকা পৌঁছন। সেখন থেকে ফিরে পাথর বোঝাই করে কলকাতা ফেরার কথা। কিন্তু ততক্ষণে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় বন্ধ পাথর খাদান ও পাথরভাঙ্গা মেশিন। ফলে আটকে পড়ে লরি। কয়েকদিন লরিতেই কাটাতে হয়। এরপর সাইকেল চালিয়ে আশ্রয় নেন রামপুরহাট মনসুবা মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ধাবাতে। কিন্তু সেখানেও খাবার শেষের দিকে। বাধ্য হয়ে সোমবার সকালে একটি সাইকেলে দুজন রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশ্যে।
প্রদীপ বলেন, “এখানে খুব কষ্টে ছিলাম। রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে হচ্ছে। মশার কামড়, দু’বেলা ঠিকমত খাবার জোগাড় করতে পারছিলাম না। বিডিওকে বলেছিলাম। তিনি একদিনের খাবার দেন। ফলে না খেয়েও থাকতে হয়েছে। টাকা পয়সাও শেষের দিকে এসে গিয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে লরি ছেড়ে সাইকেলকেই বেছে নিলাম। দুজনে মিলে দিনরাত চালালে ভোরের দিকে বাড়ি পৌঁছে যাব। বাড়িতে স্ত্রী ছেলেমেয়ে রয়েছে। তাদের জন্যও মন খারাপ করছিল। তারাও আমাদের পথ চেয়ে বসে রয়েছে”।