আমাদের ভারত, ২০ মে: সম্প্রতি ভারত সরকার স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশীয় বস্ত্র শিল্পের অনেক উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের এই নীতির কারণে দেশীয় বস্ত্র শিল্পের প্রস্তুতকারক সম্প্রদায় তাদের ব্যবসায় অতিরিক্ত দশ হাজার কোটির মুনাফা পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কিছু ব্র্যান্ডেড পোষাক পণ্যে সরবরাহের চেইন এই নীতির কারণে সাময়িক ব্যাহত হতে পারে।
শনিবার বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর জিটিএফটি
স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে পোশাক সহ অন্যান্য বেশ কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত বস্ত্র বা পোশাক আমদানি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে দেশীয় বস্ত্র উৎপাদনকারীদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই সময় দেশীয় বস্ত্র শিল্পের উৎপাদনকারীদের এগিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা, যা কিনা দেশের চাহিদা পূরণ করতে সহযোগিতা করবে। এখনো পর্যন্ত কম দামে বাংলাদেশের আমদানিকৃত পণ্যের কারণে চাহিদার যোগান দেওয়ায় পিছিয়ে ছিল দেশীয় উৎপাদকরা। এবার তা মিটে যাবে।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স ন্যাশনাল টেক্সটাইল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় কে জৈন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে এতদিন পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি টাকার পোশাক ও পণ্য আমদানি করা হতো। তবে এখনকার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে আমদানির পরিমাণ কমে আসতে পারে। এক হাজার থেকে দুই হাজার কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য ওই জায়গা দখল করে নিতে পারে। তিনি আরো জানান যে, ভারতের সাম্প্রতিক এই নীতির ফলে শুল্ক ছাড়া ঘুরপথে চীনা তন্তু বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এতদিন পর্যন্ত ২০ শতাংশ শুল্ক ছাড়াই বাংলাদেশের মাধ্যমে ঘুর পথে ভারতে আসছিল চীনা কাপড় ও কাপড়ের তন্তু। তা এবার বন্ধ হবে।
তবে অনেক ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, এই বাংলাদেশি পোশাক ও পণ্য আমদানি বন্ধ হওয়ার ফলে দেশীয় চাহিদা অনুপাতের যোগানে খানিকটা টান পড়বে। দেশীয় অ্যাপারেল ব্র্যান্ডগুলোর ২০ শতাংশ পণ্যই ছিল আমদানিকৃত। ফলে দেশীয় ভাবে প্রস্তুত
টি-শার্ট ডেনিমের দাম সাময়িকভাবে দুই থেকে তিন শতাংশ বাড়ির সম্ভাবনা রয়েছে।