সাফাই হয় না, ক্ষোভে মহিলা কর্মীকে বেধড়ক মারধর বালুরঘাটে, প্রতিবাদে বিক্ষোভ সাফাই কর্মীদের

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২ জানুয়ারি: রাস্তা পরিষ্কার করা নিয়ে বচসার জেরে পুরসভার এক মহিলা সাফাই কর্মীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ঘটনার পরেই কাজ বন্ধ রেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পৌরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন সাফাই কর্মীরা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুরো ঘটনায় অভিযুক্ত সুভদ্রা দাস সহ মোট তিনজনের নামে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত সাফাই কর্মী গীতা বাসফোর। ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত সুভদ্রা দাস পলাতক থাকলেও দুজনকে আটক করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা যায়, প্রতিদিনের মত শনিবার সকালেও শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজে গিয়েছিলেন পৌরসভার সাফাই কর্মী গীতা বাসফোর। রাস্তা সঠিকভাবে পরিষ্কার করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুভদ্রা দাসের সাথে বচসা বাধে ওই সাফাই কর্মীর। যারপরেই আচমকা ওই মহিলা সহ আরো দুজন সাফাই কর্মীকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় মুখ ফেটে রক্তাক্ত হন ওই মহিলা সাফাই কর্মী। এই ঘটনার কথা অন্যান্য সাফাই কর্মীদের সামনে তুলে ধরতেই সকলে কাজ বন্ধ করে আবর্জনার গাড়ি পৌরসভার সামনে রেখেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। এলাকায় পৌছতেই পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান সাফাই কর্মীরা। যদিও পরে পুলিশের আশ্বাসেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

ছবি: আক্রান্ত সাফাইকর্মী।
জানা গেছে পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের কাজের জন্য স্থায়ী – অস্থায়ী মিলে প্রায় ৮০০ জন সাফাই কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন শহরে। যাদের মধ্যে মহিলা সাফাই কর্মীর সংখ্যাই রয়েছে প্রায় ৩০০ জন। যারা এদিন সকলে মিলেই বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হন। তাদের বিক্ষোভে একপ্রকার চাপে পড়েই পুলিশ তড়িঘড়ি দুজনকে আটক করে স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি। যদিও ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুভদ্রা দাসের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত ওই মহিলা।
আক্রান্ত সাফাই কর্মী গীতা বাসফোর জানিয়েছেন, নিয়ম করে তারা শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করেন। কারো কাজ অনেকের অপছন্দ হতেই পারে তাই বলে মারধর করবে এটা ঠিক নয়। পুরসভায় অভিযোগ জানাতে পারতেন। এমন ঘটনায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

ছোটন বাসফোর ও বিক্ষোভ কারী এক মহিলা জানান, তারা মাঝেমধ্যেই এভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। দোষী ব্যক্তিদের প্রশাসন উপযুক্ত শাস্তি প্রদান না করলে কাজ বন্ধ রেখে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *