মেদিনীপুরের বিধায়কদের সকলকে নিয়ে কাজ করার ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৭ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সভায় সোমবার হাজির থাকলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৩ জন বিধায়ক। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি আজ প্রয়াত হন এবং কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু করোনায় আক্রান্ত। এদিন দুপুরে মেদিনীপুর কলেজ ময়দানের সভামঞ্চে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের জন্য নিৰ্ধারিত মঞ্চের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন। বক্তব্য পেশ করার সময় উপস্থিত বিধায়কদের নাম বলেন। সভা শেষ করে নামার সময় সিঁড়ির ধাপে দাঁড়িয়ে দলের বিধায়কদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় প্রত্যেক বিধায়কের নাম ধরে খোঁজ খবর নেন। বিধায়কদের নিজেদের এলাকায় সকলকে নিয়ে কাজ করার, সব সরকারি কর্মসূচি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। বিধায়কদের তিনি বলেন, এলাকায় থাকবেন, এলাকা ছাড়বেন না।

এদিনের সভায় পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের (শহর) তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার, খড়গপুরের (গ্রামীণ) দীনেন রায়, নারায়ণগড়ের প্রদ্যোত ঘোষ, দাঁতনের বিক্রম প্রধান, ঘাটালের শঙ্কর দোলই, চন্দ্রকোনার ছায়া দোলই, দাসপুরের মমতা ভুঁইঞা, কেশপুরের শিউলি সাহা, ডেবরার সেলিমা খাতুন, সবংয়ের গীতারানি ভুঁইঞা, শালবনির শ্রীকান্ত মাহাতো, গড়বেতার আশীষ চক্রবর্তী, পিংলার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র উপস্থিত ছিলেন।

এদিনের সভায় পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কতজন বিধায়ক আসছেন সেদিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। সভা শুরুর একঘন্টা আগেই চলে এসেছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। পরে এক এক করে আসেন খেজুরির রঞ্জিত মন্ডল, ময়নার সংগ্রাম দোলই, পাঁশকুড়া পশ্চিমের ফিরোজা বিবি, ভগবানপুরের অর্ধেন্দু মাইতি, কাঁথি দক্ষিণের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নন্দকুমারের সুকুমার দে, চন্ডিপুরের অমিয়কান্তি ভদ্র, মহিষাদলের বিধায়ক সুর্দশন ঘোষ দোস্তিদার ও পটাশপুরের জ্যোতির্ময় কর অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। দুজন বিধায়ক অসুস্থ বলে আগেই জানিয়েছেন।

অখিল গিরি জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় সমস্ত তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূল কর্মীরা যে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই রয়েছেন সেই বার্তা দিতে এদিনের ঐতিহাসিক সভায় যোগ দিতে তাঁরা এসেছেন। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি আসেননি। এগরার সমরেশ দাস মারা গেছেন। তিনি আরও জানান, তাঁরা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দেখে তৃণমূল করতে এসেছিলেন। ১৯৯৮ সালের সেই নেত্রী যিনি সিপিএমের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াকু ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি আজকের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। যিনি একের পর এক প্রকল্প আনছেন মানুষের জন্য। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক শক্তি পরাজিত করতে পারবে না তৃণমূলকে। এদিনের সভায় পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫টি ব্লক থেকে ১২৫টি গাড়িতে চড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এসেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থলে আসার আগে বক্তব্য পেশ করেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি তাঁর বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে রাজ্যের আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন, কিভাবে তাঁরা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন, মাথার ওপর বাড়ি পেয়েছেন তা সকলের সামনে তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *