হাইপ্রোফাইল বিয়ে এবং পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি দুটোই দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব

আমাদের ভারত, কলকাতা, ৩০ ফেব্রুয়ারি: পুরনির্বাচন ঘোষণার মধ্যেই দলের সর্বভারতীয় নেতার ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে কঠিন সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’টোই দক্ষতার সঙ্গে রক্ষা করলেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষার মাঝেও পুরনির্বাচনকে মাথায় রেখে কলকাতায় সর্বক্ষণ উপস্থিত রইল বিজেপির কোনো না কোনো বড় নেতা।

গত ১৪ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপির জেলা ও রাজ্য স্তরের কর্মী ও কার্যকর্তাদের সঙ্গে পুরভোটের রনকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে পুরসভা ভোট নিয়ে সকলের মধ্যে উৎসাহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার পরেই কৈলাস বিজয় বর্গীয়র ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ আসে। ইন্দোরে সেই বিয়েতে রাজ্যস্তরের সব নেতা এবং সাংসদকেই নিমন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু সবাই যদি একসঙ্গে বিয়েতে যায় তা হলে পুরনির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কর্মীদের মধ্যে যে উৎসাহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাতে ভাটা পড়তে পারে। কিন্তু সেটাকে কোনো ভাবে নষ্ট করতে চাননি রাজ্য নেতৃত্ব। সেই কারণেই সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো হাইপ্রোফাইল নিমন্ত্রণও বাদ দেন বেশ কয়েকজন রাজ্য পদাধিকারী। নিমন্ত্রণের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ’র সঙ্গে দেখা করার লোভও সম্বরণ করেছেন অনেক কার্যকর্তা।

সেই জন্য ১৬ তারিখ যখন মুকুল রায় ওখানে যান তখন কলকাতা তথা বাঙলার দুর্গ সামলান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) সুব্রত চ্যাটার্জি। একদিন থেকেই ফিরে আসেন মুকুল রায়। তিনি ফেরার পর ১৭ তারিখ নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান দিলীপ ঘোষ। এইভাবে পালা করে রাজ্য পদাধিকারীরা যান, যাতে কোনো ভাবেই কর্মীদের কাছে বার্তা না যায় যে পুরনির্বাচন নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সিরিয়াস নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *