পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল: আন্তর্জাতিক সাহিত্য সমন্বয় কেন্দ্রের বিচারে শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী ও সংগঠক হিসেবে এই বছর সেরা বাঙ্গালির সম্মান পেলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
মাইক্রো বায়োলজির মত আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা অর্থাৎ ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বদান এবং ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের কনভেনর হিসেবে সামাজিক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ওনাকে এই শিরোপা প্রদান করা হলো। ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ছাড়াও চিত্রশিল্পে ডক্টর সুরথ চক্রবর্তী, সঙ্গীত জগতে পন্ডিত মল্লার ঘোষ ও পন্ডিত সুভাষ সিংহ রায়, সাহিত্য জগতের প্রবীর কুমার বিশ্বাস ও প্রবীর কুমার বসু, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনার তারিক চয়ন, বিশিষ্ট মডেল শর্মিষ্ঠা রায় চৌধুরী এবং সমাজের আরো কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে তাদের নিজের কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সেরা বাঙ্গালির সম্মান দেওয়া হলো। এইদিন মঞ্চের পক্ষ থেকে আড়াই হাজার লেখক লেখিকাদের আড়াই হাজার কবিতা নিয়ে ছাপা বৃহত্তম বাংলা কাব্যগ্রন্থের আবরণ উন্মোচিত হলো। ফলে সভাতে বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক- লেখিকাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
সেরা শিক্ষাবিদ ও সংগঠক হিসেবে সম্মান প্রাপ্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, কোনো সংগঠন একজন ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয় না। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেন। তারাই সংগঠনের মূল কান্ডারী। তাই তাদের উপযুক্ত সম্মান দিতে হবে। সেরা বাঙ্গালির সম্মান প্রাপ্তি অবশ্যই অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, কারণ নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের কাজ করে যাওয়ার পর যদি এই রকম কোনে সম্মান পাওয়া যায় তাহলে একদিকে যেমন আগামী দিনে আরো ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়, সেই রকম নিজের কাছে দায়বদ্ধতাও আরো বেড়ে যায়। কিন্তু একটি সংগঠনে যেহেতু প্রত্যেকের অবদান থাকে তাই আমি আমার প্রত্যেক সহযোদ্ধা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর সাথে এই সম্মান ভাগ করে নিতে চাই।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সমন্বয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেরা বাঙ্গালির সম্মান পেয়ে ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী আয়োজকদের এবং এইদিন প্রকাশিত হওয়া বৃহত্তম কাব্যগ্রন্থের প্রায় আড়াই হাজার লেখক- লেখিকাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন।