Sukanta, BJP, “বহিরাগত নয়, হিন্দুদের উপর হামলাকারীরা স্থানীয়, মমতা মিথ্যা বলছেন প্রমাণ করেছে তারই পুলিশ,” তোপ সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১৯ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের বিএসএফ- এর মদতে বহিরাগতরা হামলা করেছে। প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি করে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবিকে তাঁরই পুলিশ মিথ্যা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে আদালতে পুলিশের দাখিল করা রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয়রাই দাঙ্গায় যুক্ত। পুলিশের রিপোর্ট তুলে ধরে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, স্থানীয়রাই হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

দিন কয়েক আগে ইমামদের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফকে তোপ দেগেছিলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার জন্য। সংবাদ সংস্থার একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, হিংসা ছড়িয়েছে বিদেশি জঙ্গিরা। উল্লেখিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এই হিংসার নেপথ্যে বিদেশি জঙ্গিদের প্ররোচনার কথা জানতে পেরেছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফকে বলেছিলেন, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সেইসব জঙ্গিদের মুর্শিদাবাদে ঢুকতে এবং হিংসার পর বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে রাজ্য পুলিশের দাখিল করা রিপোর্ট তুলে ধরে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করলেন, মুশিদাবাদের হামলাকারী স্থানীয়রাই। এতে বিএসএফের কোনো মদত নেই। বরং কেন্দ্রীয় বাহিনী অত্যাচারীদের রক্ষা করেছে।

আজ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুর্শিদাবাদের মহিলারা এলাকায় একটি বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি জানাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল বারবার বলেছে যে সহিংসতা বহিরাগতদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয়রা বলছে অপরাধীরা স্থানীয় ছিল।

তিনি জানান, একজন হিন্দু শিক্ষকের বাড়িতে তার ছাত্ররাই ভাঙ্গচুর করেছে। পরিস্থিতি এতটা উত্তেজনাপূর্ণ যতটুকু শান্তি আছে তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির কারণে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথেই পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। হিন্দুরা বাংলা থেকে দেশান্তরিত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বামপন্থীরা হিন্দুদের বোকা বানাতে থেকেছেন এবং সেই পটভূমিতে ইসলামী মৌলবাদ অব্যাহত থেকেছে।

তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির পুলিশ আজ আদালতে গিয়ে প্রমাণ করেছে মমতা ব্যানার্জি মিথ্যা কথা বলছেন। তিনি মিথ্যাবাদী। পুলিশের তরফে দাখিল করার রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয়রা এখানে একত্রিত হয়েছিল। তিন থেকে চার হাজার স্থানীয় যুবক হামলা চালিয়েছে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যে বলছেন। তিনি ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন আর বিজেপি এবং বিএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর কথায়, বিএসএফের মতো দেশের প্রধান নিরাপত্তা বাহিনীর নামে মিথ্যা দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধ করেছেন। তাই তাকে বিএসএফের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি যদি ক্ষমা না চান তাহলে মানুষ তাকে দেশদ্রোহী ভাববে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *