Midnapur, Hospital, সাসপেনশন না তুললে আন্দোলন জোরাল হবে, হুঁশিয়ারি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জানুয়ারি: অধ্যক্ষ, সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক-সহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের সদস্যদের ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি। সাসপেনশন না তুললে আন্দোলন জোরাল হবে, হুঁশিয়ারি জুনিয়র ডাক্তারদের।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের সব সদস্য, এমনকী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, রাজ্যের সমস্ত আধিকারিককে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অর্থাৎ, এদিন থেকে জেলা এবং রাজ্যের যে সব আধিকারিক মেডিক্যালে যাবেন, তাঁদের ঘেরাও করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এ দিন সুপার ইন্দ্রনীল সেনকে ঘেরাও করে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের দাবি, সুপার ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানে তাঁদের আর কোনও অভিভাবক নেই। তাঁদের আরও বক্তব্য, তাঁদের কোনও দোষ বা গাফিলতি ছিল না। স্যালাইনেই গোলমাল ছিল। তাই অবিলম্বে সাসপেনশন তোলার পাশাপাশি এফআইআর প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

সুপার ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘অর্ডারটা দেখেছি। পুরো বিষয়টা নিয়েই আমরা স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মেনে চলব।’

শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পিজিটি-সহ অন্য চিকিৎসকদের কোনও দোষ নেই। পুরোটাই কালো তালিকাভুক্ত সংস্থার স্যালাইন বা ফ্লুইডের জন্য হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে পুরো বিষয়টাই জানাবো।’

অন্যদিকে শনিবার জানা যায়, সুশান্ত মণ্ডল নামে একজন পিজিটিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সুশান্ত মণ্ডল নামে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ওই দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি-র কাছে শুক্রবার রাতে সাসপেনশন অর্ডার পৌঁছোয়। এর পরই একটা জল্পনা তৈরি হয়, তবে কি আরও একজনকে সাসপেন্ড করা হল? পরে জানা যায়, ৬ জন সাসপেন্ডেড পিজিটির মধ্যেই রয়েছেন সুশান্ত মণ্ডল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *