সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাকুঁড়া, ১১ ফেব্রুয়ারি: মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের গঙ্গাজলঘাঁটি থানার দুর্লভপুর তারামা সংঘের পরিচালনায় ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক গৌতম মিশ্রর উদ্যোগে আজ এক দীর্ঘ দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সকাল ৭ টায় এই প্রতিযোগিতা অমরকানন আশ্রম মোড় থেকে শুরু হয় এবং শেষ হয় মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন দুর্লভপুর ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে। এই ১০ কিমি দৌড় প্রতিযোগিতায় পতাকা নেড়ে দৌড়ের সূচনা করেন গৌতম মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব প্রদীপ চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব রথীন ব্যানার্জি, গঙ্গাজলঘাঁটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিমাই মাজি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জীতেন গরাই।
তারামা সংঘের ক্রীড়া সম্পাদক সমীর লোহার জানান, এই প্রতিযোগিতায় বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রতিযোগীরাও অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম স্থান দখল করেন পুরুলিয়ার পরীক্ষিৎ মাহাতো। তিনি ৪১ মিনিট ১০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন। ৪৩ মিনিটে ১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান পান বড়জোড়ার প্রশান্ত দাস ও ৪৪ মিনিট ২ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করে তৃতীয় পুরষ্কার বিজয়ী হন মেজিয়ার প্রশান্ত বাউরি। প্রতিযোগিতায় মহিলা প্রতিযোগী মহুয়া ঘোষ, বিশেষ ভাবে সক্ষম বাবলু লোহার সাধারণ প্রতিযোগীদের সাথে অংশ নিয়ে যথাক্রমে ১৬ তম ও ১৯ তম স্থান পান। এছাড়াও ৫৮ বছর ও ৫৪ বছর বয়সী ২ জন সিআইএসএফ জওয়ান ১৪ তম ও ২৫ তম স্থান পান।
ক্লাবের সভাপতি রাজু লোহার বলেন, ১২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সম্পাদক উত্তম লোহার জানান, এটি আমাদের দ্বিতীয বর্ষ দৌড় প্রতিযোগিতা।
ক্লাবের কর্ণধার কাজল খাঁ বলেন, দুর্লভপুর তারামা সংঘের প্রতিটি সদস্য দিনমজুর পরিবারের। প্রবল আর্থিক সঙ্কট নিয়েও তারা যে ভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভূমিকা নিচ্ছে তা জেলার এক দৃষ্টান্ত।
সমাজকর্মী গৌতম মিশ্র বলেন, ক্রীড়া চর্চা বা শারীর শিক্ষার অনুশীলন না থাকলে মজবুত যুব সমাজের অভাব দেখা দেবে। যা বর্তমান সময়ে প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে। যুব সম্প্রদায় শক্তিশালী না হলে দেশও শক্তিহীন হয়ে পড়বে। তাই সারা উত্তর বাঁকুড়ার ক্রীড়া চর্চার জন্য প্রত্যেকটি ক্লাবকে তিনি সমস্ত রকম সাহায্য ও সহযোগিতা করে চলেছেন।