আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর এবং মন্দিরে হামলা থামার কোনো নামগন্ধ নেই। ত্রস্থ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। আবারো একটি মন্দিরে লুটপাটের ছবি তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস।
একদিকে জেলে বন্দি রয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহিতার। আর এই অভিযোগে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম আদালত। এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিদিন বাংলাদেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দুরা। সেই চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফুটে উঠছে। ইসকন কলকাতা তরফে বারবার বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আবার অন্যদিকে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষও ক্রমেই তুঙ্গে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস একটি ভিডিও সামনে এনেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এভাবে চলতে থাকলে ওপারে বাংলার হিন্দুরা উপাসনা করবে কোথায়?
রাধারমন দাস যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তাতে লিখেছেন, “একটি মন্দিরে একটি দেবতার মূর্তিও অবশিষ্ট নেই। পুজোর জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র ধ্বংস হয়েছে। সবকিছু নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। বাংলাদেশের প্রাচীন মন্দিরে হিন্দুরা এখন কোথায় পূজো করতে যাবে? তারা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিভাবে পালন করবে?”
লালমনিরহাট এর কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার জমিদার বাড়িতে স্থাপিত ঐতিহাসিক ভবতারিণী কালী মন্দির থেকে ভবতারিণী কালীমূর্তি, পূজার উপকরণ, সিসিটিভির যন্ত্রপাতি এবং সংরক্ষিত পুরনো ক্ষুদ্রাকৃতি মূর্তি সব চুরি হয়ে গেছে। ১০ জানুয়ারি সকালে মন্দিরের পুরোহিত নিত্য পুজোর জন্য এলে মন্দিরের তালা ভাঙ্গা দেখতে পান। তারপর দেখেন, জমিদার আমলের মূল্যবান কালী মূর্তি, সোনার গয়না, পুজোর উপকরণ সংরক্ষিত ছোট ছোট মূর্তি সবই খোয়া গেছে।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতাদের চরম উগ্রতা প্রকাশ্যে এসেছে। কয়দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে ৩৭৩ কিলোমিটার দূরে নড়াইলে এক হিন্দু মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি নাটোরেও খুন হতে হয় একের পর এক হিন্দুকে। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের পাশাপাশি বাংলাদেশে রেহাই পায়নি হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘর। এবার সেই তালিকাটি নতুন সংযোজন লালমনিরহাট এর কালীগঞ্জের প্রাচীন কালী মন্দির।