কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি: সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের ভুলের মাশুল দিতে হলো ঘাটাল মহকুমার প্রায় ২০০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এক কর্মীর গাফিলতিতে শিক্ষকরা বর্ধিত হারে বেতন পাননি বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে আজ ঘাটালে এডিঅাই অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের অভিযোগ ওই অফিসের কর্মী অনুপ ব্যানার্জি-র গাফিলতির কারণে শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকা রোপা ২০১৯ অনুযায়ী বর্ধিত বেতন পেলেন না। তাঁদের ২০০৯ অনুযায়ী বেতন নিতে হয়েছে। শুধু তাই নয় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ঐ কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অারও অভিযোগ জীবন বীমা করতে হবে ঐ কর্মচারীর কাছে তাহলে সেই শিক্ষকের কাজ দ্রুত হবে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ঘন্টা খানেক ধরে বিক্ষোভ চলে। নতুন হারে বেতন না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলেন, কয়েকটা স্কুল বর্ধিত হারে বেতন পেল অধিকাংশ স্কুল কেন বর্ধিত বেতন পেল না, তার কৈফিয়ত চাই এডিঅাই এর কাছে। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন এবিটিএ সংগঠনের জেলা নেতা সুমন ঘোষ, প্রণব গোস্বামী, শ্রীবাস জানা সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। এডিঅাই অফিসে ঘুষখোর, দালাল এডিঅাই বলে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে অফিসের চারপাশে।
তবে এডিআই তুহিন বরন আদগিরি অবশ্য এই সমস্যার কথা স্বীকার করে শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়েছেন একটা সমস্যা হয়েছে পরের মাসে চেষ্টা করছেন বর্ধিত হারে বেতন যেন পান। তবে বিক্ষোভকারীরা জানান, যদি এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করবেন। এরপর শিক্ষকরা মহকুমাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে অাসেন বলে জানান।
জানুয়ারীর বকেয়া বেতনের কী হবে?সে ব্যাপারে ADI -এর বক্তব্য কী?