অ্যাসিড বিরোধী অ্যাকটিভিস্ট লক্ষ্মীর সচিত্র জীবনকাহিনী জানালেন তসলিমা

আমাদের ভারত, ৪ নভেম্বর: অ্যাসিড বিরোধী অ্যাকটিভিস্ট লক্ষ্মীর সচিত্র জীবনকাহিনী জানালেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সামাজিক মাধ্যমে স্বাগত জানিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রচুর নেটনাগরিক।

শনিবার তসলিমা লিখেছেন, “আমার সঙ্গের মেয়েটির নাম লক্ষ্মী আগরওয়াল। যখন তাঁর ১৫ বছর বয়স, ৩২ বছর বয়সী প্রতিবেশি নাইম খান তাঁকে বিয়ে করার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিল। লক্ষ্মী রাজি হয়নি বলে তাঁর মুখে সে এসিড ছোঁড়ে। লক্ষ্মী এখন একজন অ্যাসিড বিরোধী অ্যাকটিভিস্ট। তাঁর জীবন কাহিনী নিয়ে বলিউডে সিনেমাও হয়েছে। ওদিকে নাইম খানের কিন্তু যাবজ্জীবন হয়ে গেছে। লক্ষ্মীর সঙ্গে কয়েক বছর আগে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি তাঁর জীবনের কষ্টের কাহিনী যেমন বলেছিলেন, দুঃখ কষ্ট ঝেড়ে উঠে দাঁড়াবার কাহিনীও বলেছিলেন।”

এটি পোস্ট করার পর ১২ ঘন্টায়, শনিবার বেলা সওয়া ১২টায় সামাজিক মাধ্যমে লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০, ৩৪৪ ও ১৩২।
ছন্দা দাস লিখেছেন, “সব প্রতিকূলতা জয় করে এগিয়ে যাওয়ার নাম ‘জীবন’। তোমরা দুজনেই আমাদের প্রেরণা।” মেহবুব রহমান লিখেছেন, “লক্ষীর দুঃখ কষ্ট ঝেড়ে উঠে দাঁড়াবার কাহিনী শোনার ইচ্ছে হয়।“

অদিতি দাস লিখেছেন, “দুঃখ কষ্ট ঝেড়ে উঠে দাঁড়াবার কাহিনীগুলোই তো আমার প্রেরণা, দুজন সাহসী কন্যা।” সুরভি জাহাঙ্গীর লিখেছেন, “দেবতা খুঁজতে দেবালয়ে যেতে হয় না, আমাদের মন, আমাদের চারপাশে তাঁরা আছেন। শুধু দেখার মত চোখ থাকতে হয়, বোঝার মত মন থাকতে হয়।” আরিফা রহমান লিখেছেন, “ক’জন পারে এভাবে বাঁচাতে? সেলুট।”

সঙ্গীতা ইয়াসমিন লিখেছেন, “আপনি তো লিখতে পারেন তাঁকে নিয়ে। মানে উপন্যাস।” মহম্মদ ফরিদুল ইসলাম লিখেছেন, “দুঃখ কষ্ট ঝেডে উঠে দাঁড়াবার মানসিক ক্ষমতাই প্রমান করে সে আসলেই লক্ষ্মী। শুভকামনা বোন, এগিয়ে যাও। তোমাদের মতো অগ্রগামী নারীরাই পারবে নারীদের পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গতে। আপনাদের খুব ভাল হোক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *